টাঙ্গাইলের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মানবতার আরো এক অনন্য নিদর্শন। জেলা প্রশাসক হিসেবে টাঙ্গাইলে যোগদানের পর থেকেই তিনি গভীর রাতে গরীব শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, চিকিৎসায় সহযোগিতা, লেখাপড়ার ব্যয়ভার বহন, ঘর তৈরি করে দেয়া সহ এহেন কোন সহযোগিতা নাই, যা তিনি করেন নাই।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা প্রকৃত সাহায্য প্রার্থীদের খুঁজে বের করে প্রতি বুধবার তিনি তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকেও সহযোগিতা করে থাকেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এপর্যন্ত তিনি প্রায় একশ’ লোককে সাহায্য করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া গোপালপুর উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থী সুচিত্রা রাণীর পাশে দাঁড়ালেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে তিনি সুচিত্রার শিক্ষার পুরো খরচ বহনের ঘোষণা দেন।
জেলা প্রশাসককে সুচিত্রা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত মে মাসে তার বাবার অকাল প্রয়ান ঘটে। এজন্য তার স্বপ্ন জীবনে কার্ডিওলজি নিয়ে সে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করবে।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম রেজা মাসুম প্রধান, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, শিক্ষার্থী সুচিত্রা রাণী, তার মা মুক্তি রাণীসহ গোপালপুরের স্থানীয় মিডিয়া কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক সুচিত্রাকে শিক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য নগদ ৩৫ হাজার টাকা তুলে দেন। তিনি সুচিত্রার পড়ালেখার সমগ্র ব্যয় বহনের প্রতিশ্রিুতি দেন।
উল্লেখ্য, পিতৃহারা সুচিত্রা’র বাড়ি ভিটা ছাড়া কোন জমি নেই। মা মুক্তি রাণীর ছোট একটি পোল্ট্রি খামার আয় রোজগারের একমাত্র উৎস। তা দিয়ে কোনভাবে খাবার জুটলেও মেডিকেলে পড়ার খরচ নিয়ে দুর্ভাবনায় ছিলেন মা মুক্তিরাণী।