টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার উন্নয়ন, শৃঙ্খলা ও মানবিক সেবায় নতুন দিগন্ত তৈরি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খায়রুল ইসলাম। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মাঠপর্যায়ে তার সক্রিয় ভূমিকা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জনবান্ধব উদ্যোগ সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অর্থাভাবে পড়াশোনা ঝুঁকিতে থাকা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি আর্থিক সহায়তা ও উৎসাহ প্রদান করছেন। স্থানীয়দের মতে, ইউএনও’র এই সহযোগিতা না পেলে অনেক শিক্ষার্থীই পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হতো। এতে অভিভাবকদের মাঝেও তৈরি হয়েছে স্বস্তি ও আশাব্যঞ্জক পরিবেশ।
যেকোনো সমস্যার খবর পাওয়া মাত্রই তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন—রাস্তার সমস্যা, জনদুর্ভোগ, অবৈধ বালু উত্তোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার তাৎক্ষণিক উপস্থিতি দ্রুত সমাধান এনে দিচ্ছে। এলাকাবাসীর ভাষায়, “সমস্যা জানালে সমাধান নিশ্চিত”—বর্তমান ইউএনওকে ঘিরে মানুষের বিশ্বাস এমনই।
উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনেও এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন। উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপন করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন লাইট, সেলফি কর্নার “আমাদের ভালবাসা কালিহাতী”, এবং জনবান্ধব বিভিন্ন সুবিধা। কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত করে লাগানো হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধক ফুলের গাছ। পৌর এলাকায় নতুন সড়কবাতি স্থাপনের ফলে বেড়েছে রাতের নিরাপত্তা। জলাবদ্ধতা নিরসনে তার কার্যকরী উদ্যোগও প্রশংসিত হয়েছে।
চুরি-ছিনতাই রোধে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং বিভিন্ন উন্নয়নকাজ সরেজমিনে তদারকি—এসব মিলিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রমে নতুন গতি এসেছে। স্থানীয়দের মতে, “যেখানে সমস্যা, সেখানে ইউএনও খায়রুল ইসলাম।”
মানবিকতা, কর্মদক্ষতা ও দায়িত্ববোধের কারণে তিনি ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের কাছে একজন কর্মবীর প্রশাসক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
কালিহাতীর উন্নয়ন, শৃঙ্খলা ও জনসেবাকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিতে ইউএনও খায়রুল ইসলামের উদ্যোগ এখন এলাকাজুড়ে আলোচনায়। স্থানীয়দের বিশ্বাস, তার এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামী দিনে কালিহাতীর উন্নয়নচিত্র আরও এগিয়ে যাবে।











