মাভাবিপ্রবি প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের জন্য সহযোগিতা কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনায় বাঁধার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী মানিক শীলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
রোববার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন টাংগাইল জেলার আহবায়ক ফাতেমা রহমান বিথী জানান, রোববার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের জন্য সহযোগিতা কেন্দ্র স্থাপন করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
উদ্দেশ্য ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে তার পরীক্ষার হল চিনিয়ে দেয়া।
সে লক্ষ্য সকালে হেল্প বুথ বসিয়ে কাজ করছিল ছাত্র ফেডারেশনের কর্মীরা। ভর্তি-ইচ্ছু পরীক্ষার্থীরা সেই বুথ থেকে সেবা নিচ্ছিল, উপকৃত হচ্ছিল।
বুথ বসানোর এক ঘন্টা পর সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মী নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে নিজ হাতে ছাত্র ফেডারেশনের ব্যানার কেড়ে নেয়।
এসময় ফাতেমা রহমান বিথী আরো জানান, মানিক শীল সেখান থেকে ছাত্র ফেডারেশনের হেল্প বুথ উচ্ছেদ করতে বলেন এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেন।
তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং ক্যাম্পাস সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বমুক্ত শিক্ষাঙ্গন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
এবিষয়ে মাভাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মী মানিক শীল বলেন, ছাত্র ফেডারেশন বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পাসে হেল্প বুথ বসিয়েছে; সেটাই জানতে চেয়েছিলাম।
এসময় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালেয়র প্রক্টর প্রফেসর ডক্টর মীর মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ছাত্র ফেডারেশন অনুমতি না নিয়ে হেল্প বুথ বসিয়েছিল।
আমি ২ জন সহকারী প্রক্টর পাঠিয়ে পরবর্তীতে অনুমতি নিয়ে হেল্প বুথ স্থাপনের বিষয়টি অবগত করি। কিন্তু উচ্ছেদ করা হয়নি।
এসময় তিনি আরো জানান, এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগকে জানায়নি বা তাদের কোন সহযোগিতাও চায়নি।
ছাত্রলীগ কিভাবে কি করেছে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবগত নয়। সম্পাদনা – অলক কুমার