টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাবেক যুবদল নেতা ফজল হক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে পার্শ্ববর্তী সখিপুর উপজেলার হাতিবান্ধা পূর্বপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাঁশতৈল ফাঁড়ির ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হাতিবান্ধা পূর্বপাড়া গ্রামের আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী রুমেলা (৩৭), সিরাজের স্ত্রী গোলবাহার এবং গেচুয়া গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ছেলে মো. জাফর (৩২)।
রবিবার সকালে মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশী নগর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফজল হক হামলার শিকার হন। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ফজল হকের স্ত্রী মরিয়ম বেগম প্রধান অভিযুক্ত পারভেজসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
বাঁশতৈল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম জানান, ফজল হক দীর্ঘদিন বাঁশতৈল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পরে শ্রমিকদলের সিনিয়র নেতা হিসেবে যুক্ত ছিলেন। প্রস্তাবিত কমিটিতে তাকে শ্রমিকদলের ইউনিয়ন সভাপতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল জানান, ফজল হক এবং তাঁর ফুপাতো ভাই মজিবুর রহমানের ছেলে পারভেজের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন পারভেজ ও তার সঙ্গে থাকা ৩০-৩৫ জন দেশীয় অস্ত্রসহ জমিতে গিয়ে ফজল হকের স্থাপিত কাঁটাতারের বেড়া অপসারণের চেষ্টা করেন। ফজল হক বাধা দিলে তারা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ফজল হকের স্ত্রী ও ছেলেও হামলার শিকার হন।
মির্জাপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন জানান, মামলার পরপরই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।