মির্জাপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রেসক্লাব মির্জাপুরের আজীবন সদস্য সাবেক সাংসদ ফজলুর রহমান খান ফারুকের সহধর্মিনী সুরাইয়া বেগমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল হয়েছে।
শনিবার বিকেলে প্রেসক্লাব মির্জাপুরের উদ্যোগে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
প্রেসক্লাব মির্জাপুরের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনে সভাপতিত্বে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য খান আহমেদ শুভ।
এছাড়াও বক্তৃতা করেন, লফিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শামীম আল মামুন, প্রেসক্লাব মির্জাপুরের সাবেক সভাপতি শামসুল ইসলাম সহিদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম এরশাদ প্রমুখ।
প্রেসক্লাব মির্জাপুরের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমারা যেমন বাংলাদেশ পেয়েছি।
বঙ্গবন্ধুর জীবনের সুখ-দুঃখ মেনে সার্বক্ষনিক সঙ্গী হিসেবে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব যেমন বঙ্গ মাতার স্বীকৃতি লাভ করেছেন।
তেমনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুকের নেতৃত্বে আমরা সুন্দর শান্তির নগরী টাঙ্গাইল পেয়েছি।
জননেতা ফজলুর রহমানের জীবনের সুখ-দুঃখ মেনে সার্বক্ষনিক সঙ্গী হিসেবে সুরাইয়া বেগমও আজ টাঙ্গাইল মাতা।
জীবনের সুন্দর সময়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে ফজলুর রহমান খান ফারুক মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে জীবনবাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন।
তেমনি যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়নে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলাবাসীর জীবন মানের উন্নয়ন ও শান্তির লক্ষে আজীবন যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইলবাসী আজ জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুককে টাঙ্গাইলের অভিভাবক বা টাঙ্গাইলের পিতা স্বীকার করেন।
জননেতা ফজলুর রহমান খান ফারুক যদি টাঙ্গাইলবাসীর অভিভাবক বা পিতা হন ,তাহলে তাঁর জীবনের নানা চড়াই উৎরাইয়ের সার্বক্ষনিক সঙ্গী সুরাইয়া বেগম টাঙ্গাইল মাতা।
পরে মির্জাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা তাওহীদুল ইসলাম সুরাইয়া বেগমের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন।
এর আগে মির্জাপুর উপজেলা যুব কল্যাণ মাদরাসার ছাত্ররা কোরআন খতম করেন।
উল্লেখ্য গত ২৪ আগস্ট এই মহীয়সী নারী সুরাইয়া বেগম ইন্তেকাল করেন।