টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাইকিং শুনে ১০ মিনিটেই কোরবানীর হাট ফাঁকা হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অননুমোদিত গরুর হাট বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান ১০ মিনিটের সময় বেঁধে দিলে হাটটি গরু শূণ্য হয়ে পড়ে। ওই সময়ের মধ্যেই প্রায় তিন শতাধিক গরু ব্যাপারীরা তাদের গরু নিয়ে হাট থেকে চলে যেতে বাধ্য হন। আর এভাবেই বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের চকবাজার গরুর হাট বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।
জানা গেছে, ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে চকবাজারে অস্থায়ী গরুর হাট বাসান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান গরুর হাটে যান। অননুমোদিত গরুর হাট বন্ধে তিনি আয়োজকদের ১০ মিনিট সময় বেঁধে দেন। ওই সময়ের মধ্যেই ব্যবসায়ীরা হাটের গরু নিয়ে চলে যান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান মির্জাপুর সেনা ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট সিদ্দিকী ও মির্জাপুর থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়দের কথা –
তরফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ আনোয়ার বলেন, প্রতি বছরই ঈদুল আযহা উপলক্ষে তরফপুর গ্রামবাসী মিলে চকবাজারে অস্থায়ী গরুর হাট হয় এখানে। এ বছরও সেভাবেই গরুর হাটের আয়োজন করেছিল গ্রামবাসী। এই হাটে শুধু তফপুর গ্রামের মানুষই গরু কেনা বেচা করে থাকে। কিন্ত এসিল্যান্ড স্যার এসে গরুর হাট বন্ধে সময়ে বেঁধে দিলে গ্রামবাসী যার যার গরু নিয়ে হাট থেকে চলে যান। ভবিষ্যতে সরকারের অনুমতি নিয়ে হাট বসানো প্রদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তরফপুর গ্রামের বাসিন্দা দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী নাজমুল হোসেন, সিঙ্গাপুর প্রবাসী মজিবর মোল্লাসহ অনেকে বলেন, বাড়ির কাছে কোরবানীর হাট বসাতে কোরবানীর পশু কেনার ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন তারা। কিন্ত বিকেলে ম্যাজিস্ট্রেট এসে হাট বন্ধ করে দেয়ায় তাদের কোরবানীর গরু কেনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যা বললেন –
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান বলেন, এ উপজেলায় বড় দুটি গরুর হাট রয়েছে। এছাড়া ঈদুল আযহা উপলক্ষে ৮টি অস্থায়ী গরুর হাটের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্ত চকবাজারে কোন রকম অনুমতি না নিয়ে কে বা কারা গরু হাট বসিয়ে খাজনা আদায় করছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। সে কারণে অননুমোদিত হাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।