টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সরিষাদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও সাতজন শিক্ষককে গণহারে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং আরেকজন পিটিআই প্রশিক্ষণে থাকলেও তাদেরও নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১৫ অক্টোবর বিকেলে মির্জাপুর উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (সদর ক্লাস্টার) শর্মীষ্ঠা রানী মজুমদার বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে এ নোটিশ প্রদান করেন। শিক্ষকরা ক্লাসরুমে না থেকে অফিস কক্ষে ছিলেন, আর শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলছিলেন। নোটিশে আফরোজা, মাহমুদা, রোকসানা, মৃত্তিকা, স্বপ্না, কানিজ ফাতেমা, নুরুন্নাহার, কামরুন্নহার ও তাসিনের নাম উল্লেখ করা হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মৃত্তিকা শিকদার বলেন, “বিদ্যালয়ে থাকা সত্ত্বেও গণহারে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত দু:খজনক।” সহকারি শিক্ষক মাহমুদা আক্তার জানান, দোতলায় পাঠদান শেষে শিক্ষকরা অফিস কক্ষে বসেছিলেন যাতে শিক্ষার্থীরা পাঠদানের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। তিনি বলেন, “ওই দিনে শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় ক্লাসের কারণে কক্ষ পরিবর্তন করছিল। শিক্ষকেরা শ্রেণি কক্ষে না থেকে অফিস কক্ষে অপেক্ষা করছিলেন।”
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিপ্লব গোস্বামী বলেন, “আমি ওই দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলাম না, উপজেলায় মিটিংয়ে ছিলাম। গণহারে নোটিশ দেওয়া সঠিক হয়নি।”
মির্জাপুর উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শর্মীষ্ঠা রানী মজুমদার বলেন, “বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে দেখেছি শিক্ষকরা ক্লাসরুমে না থেকে অফিস কক্ষে ছিলেন এবং শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলছিল। এজন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একজন মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং একজন পিটিআই প্রশিক্ষণে থাকার কারণে নোটিশ প্রদানের বিষয়টি আমার ভুল ছিল।”











