টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. সাহাদৎ হোসেন সুমন (৪৮) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না নিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেজিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে মির্জাপুর জুড়ে বইছে শোকের হাওয়া।
মেয়র সাহাদৎ হোসেন সমুন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন এমপির আপন চাচাতো ভাই। তার বাড়ি মির্জাপুর পৌর সদরের পোষ্টকামুরী গ্রামে। পিতার নাম মৃত খোয়াজ উদ্দিন। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্যগুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
বুধবার বাদ যোহর মির্জাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তাঁর নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছেন। সাহাদৎ হোসেন সুমন ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মির্জাপুর পৌরসভা মেয়র নির্বাচিত হন।
সাবেক এই ছাত্র নেতা ১৯৯৪ সালে মির্জাপুর কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ছাত্রলীগের রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার মির্জাপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।তিনি মির্জাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
এদিকে মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমনের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সাংসদ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুর ইসলাম জহির, মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস, মির্জাপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শামীম আল মামুন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন মির্জাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সম্পাদক সোহেল মোহসীন শিপন সহ সর্বস্তরের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী।