মুক্তির জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট

সাবেক মেয়র মুক্তি

আদালত ডেস্ক : আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১০ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে এদিন জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল হাশেম।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ সাবেক মেয়র মুক্তিকে জামিন দেন।

পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি তার অন্তর্বর্তী জামিন বাতিল করেন আদালত; এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে আদালত আজ এই আদেশ দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল হাশেম বলেন, এই আসামির বিষয়ে অন্য আসামির স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি, চিকিৎসা বিষয়ে যথাযথ হাসপাতালের কোনো সনদ না দেখানোর বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেছি। এরপর আদালত তার আবেদনটি আউট অব লিস্ট করে দেন।

খবরবাংলা

ঘটনার বর্ণনা –

দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান মুক্তি আদালতে আত্মসমর্পন করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়।

এ ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেফতার করে।

খবর বাংলা

আদালতে এ দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা; তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি; ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন।

প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিন পেয়ে মুক্ত আছেন। তাদের অপর দুই ভাই আত্মগোপনে রয়েছেন। সূত্র – জাগো নিউজ; সম্পাদনা – অলক কুমার