আফগান মেয়েদের জন্য স্কুল খুলে দেওয়ার জন্য তালেবানের ভারপ্রাপ্ত উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। এটি এমন একটি নীতি যা তীব্র নিন্দার মুখোমুখি হয়েছে এবং তালেবান শাসকদের আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানেকজাই ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের আগে দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আলোচকদের একটি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
স্তানেকজাই এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘নারী ও মেয়েদের শিক্ষার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ ইসলামি শরিয়া আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
স্থানীয় সম্প্রচারক টোলো অনুসারে তিনি তালেবানের নাম উল্লেখ বলেন, ‘নারীদের জন্য শিক্ষার দরজা খুলে দেওয়ার জন্য ইসলামিক আমিরাতের (আফগানিস্তান) নেতাদের কাছে অনুরোধ করছি।’আব্বাস স্তানেকজাই আরো বলেন, ‘নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়ে জ্ঞানের দরজা পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্যই উন্মুক্ত ছিল।’ তিনি আফগানিস্তানের নারী জনসংখ্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আজ চল্লিশ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে, আমরা বিশ মিলিয়ন মানুষের ওপর অবিচার করছি।’ তালেবান সূত্র এবং কূটনীতিকরা পূর্বে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ কিছু মতবিরোধ সত্ত্বেও সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা নারীদের শিক্ষা বন্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তালেবানরা বলেছে, তারা ইসলামী আইন এবং আফগান সংস্কৃতিতে নারীর অধিকারকে সম্মান করে।
২০২২ সালে মেয়েদের জন্য উচ্চ বিদ্যালয় খোলার প্রতিশ্রুতি থেকে তালেবানরা সরে এসেছে এবং তখন থেকেই তারা বলে আসছে, স্কুলগুলো পুনরায় খোলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে, কিন্তু কোনো সময়সীমা দেয়নি। ২০২২ সালের শেষের দিকে তারা নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়।
এই নীতিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। সমালোচনা করেছেন ইসলামি পণ্ডিত এবং পশ্চিমা কূটনীতিকরাও। যতক্ষণ না নারীদের প্রতি তাদের নীতিতে পরিবর্তন আসে, তারা তালেবানদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে চান না। তালেবান প্রশাসন স্তানেকজাইয়ের মন্তব্যের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।