টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড়ের সেতু রক্ষা মূল গাইড বাঁধের অদূরে অসময়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ১৫০ মিটার দক্ষিণে ভাঙনের ফলে ইতিমধ্যে খালেক আকন্দ, নাসির শিকদার, কয়েস শিকদার সহ ওই এলাকার ৫টি পরিবারের পাকা বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আরোও অন্তত কাঁচা-পাকা ১০টি বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকে যমুনা নদীর গরিলা বাড়ি অংশে এ ভাঙন দেখা দেয়।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষা বাঁধের ভাঙন রোধে স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিবিএ কর্তৃপক্ষ গরিলা বাড়ি পাথর ঘাট থেকে ৪৫০ মিটার নদী এলাকায় গাইড বাঁধ নির্মানের জন্য রানা বিল্ডার্স এন্ড শহীদ ব্রাদার্স (জেবি) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান হয়রত আলী তালুকদার ও তার বাহামভ‚ক্ত চাঁন মিয়া শিকদার, জাকারিয়া শিকদার ও কুরবান আলী ওই কাজে বাঁধা প্রদান করে। একারণে কাজটি সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের দাবি, গাইড বাঁধ নির্মান সম্পন্ন হলে এই অসময়ের ভাঙন রোধ করা যেত।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদারের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বিবিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, গতকাল রাত থেকে ওই অংশে ভাঙন দেখা দেয়। খবর শুনে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ওই অংশে গাইড বাঁধের জন্য আরোও দুই মাস আগে কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিলো। স্থানীয় একটি মহলের বাঁধার কারনে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। গাইড বাঁধের কাজটি সম্পন্ন হলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হতো।