ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফেরার তাড়নায় ঢাকামুখী মানুষের চাপ বাড়ছে। ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট ও ধীরগতি। যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। এর পাশাপাশি যাত্রীদের অভিযোগ, বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানি নিয়মের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করছে।
মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (১৩ জুন রাত ১২টা থেকে ১৪ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত) সেতু দিয়ে ৫১ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা।
এর মধ্যে ১৮ হাজার ২৬৬টি যানবাহন ছিল উত্তরবঙ্গগামী, যাদের কাছ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা। অন্যদিকে ঢাকাগামী যানবাহনের সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ৩২৯টি, টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪ হাজার ৫০ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনা সেতু পূর্ব প্রান্ত থেকে টাঙ্গাইলের রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকায় যানজট ও ধীরগতির কারণে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছেন।
যমুনা সেতু পূর্ব থানার ওসি ফয়েজ আহমেদ জানান, “সড়কে যানবাহনের তীব্র চাপ, কয়েকটি যানবাহন বিকল হওয়া, দুর্ঘটনা এবং টোল আদায়ের সাময়িক বন্ধ থাকায় রবিবার (১৫ জুন) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত যান চলাচল ধীর ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।”
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, “সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮টি টোল বুথ চালু রাখা হয়েছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা ৪টি বুথ রয়েছে, যাতে যানবাহন পারাপার দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।”
ঈদ পরবর্তী এই ঢাকামুখী ভ্রমণে যানজট পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।