জুলাইয়ের প্রথম প্রহরে হঠাৎ ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার আহ্বায়ক রাশেদ খান। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যশোর জেলার আহ্বায়ক পদ থেকে আমি স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিচ্ছি এবং একই সঙ্গে এনসিপি ও এর ছাত্র বা যুব উইংয়ের সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
রাশেদের এমন পদত্যাগের ঘোষণায় হতবাক হয়েছেন সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই তার পোস্টের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে তার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও অনেকে সমালোচনা করছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটি রাশেদ খানকে আহ্বায়ক ও জেসিনা মুর্শীদ প্রাপ্তিকে সদস্যসচিব করে ১০১ সদস্যের যশোর জেলা কমিটি অনুমোদন দেয়। তবে কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যুগ্ম আহ্বায়ক-১ মাসুম বিল্লাহ নৈতিক স্খলনের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেন। এর পরপরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে আরও সাতজন নেতা কমিটি ছাড়েন।
এছাড়া চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা কমিটি গঠনে সাংগঠনিক নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে সদস্যসচিব জেসিনা মুর্শীদ প্রাপ্তির পদ স্থগিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এসব ঘটনায় দলের অনেক নেতাকর্মী ক্রমেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় থেকেই যশোরে নেতৃত্ব দেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদ খান। বাম ধারার ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা রাশেদ জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। এর স্বীকৃতি হিসেবে তাকে জেলা কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তবে হঠাৎ এই পদত্যাগের ফলে জেলার রাজনীতিতে নতুন করে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, রাশেদের অনুসারী আরও অন্তত এক ডজন নেতাকর্মী শিগগিরই পদত্যাগ করতে পারেন।