গত কোরবানির ঈদে ভালো লাভের আশায় এবারও রংপুর বিভাগের খামারিরা পশু প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। বিভাগের আট জেলায় এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদার চেয়ে ৫ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। চাহিদা রয়েছে ১৪ লাখ ১২ হাজারের মতো, আর প্রস্তুত করা হয়েছে ১৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৯০টি পশু।
প্রশাসনের সহায়তায় এই পশু কেনাবেচার জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ২৯৫টি হাট বসবে। তবে স্থানীয় খামারিরা অভিযোগ করছেন, প্রতিবছর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু অবৈধভাবে হাটে প্রবেশ করে। এতে দেশীয় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা প্রশাসনের কাছে সীমান্তে কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন।
রংপুর ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসিফুল ইসলাম বলেন, “ভারতীয় গরু বাজারে ঢুকলে প্রান্তিক খামারিরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে। কোরবানির মৌসুমই তাদের একমাত্র ভরসা।”
সংগঠনটির সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন বলেন, “উদ্বৃত্ত পশু দেশের অন্যান্য এলাকায় সরবরাহ সম্ভব, তবে পথে ট্রাক আটকে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে।”
এছাড়াও খামারিরা জানান, পশুর খাদ্যের দাম বাড়ায় এবারের গরুর দামও কিছুটা বেশি হতে পারে।