বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ‘মানবিক করিডর’ নিয়ে আলোচনার পর থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। প্রতিদিনই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। অভিযোগ উঠেছে, আরাকান আর্মির নির্যাতনের শিকার হয়ে তারা পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, মানবিক করিডরের নামে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পথ খুলে গেলে দেশের জন্য আরেকটি সংকট তৈরি হতে পারে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই করিডরের বিরোধিতা করছেন। কক্সবাজারের আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, “মানবতার ধুয়া তুলে শেখ হাসিনাকে দিয়ে বিশ্ব মোড়লরা বাংলাদেশের কাঁধে তুলে দিয়েছে ১১ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা। এখন আবার করিডরের নামে আরেকটি আন্তর্জাতিক ফাঁদে পা দিচ্ছি কিনা, তা ভাবতে হবে।”
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “সীমান্তে যদি মানবিক করিডর বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে তা হবে বাংলাদেশের জন্য মড়ার উপর খাড়ার ঘা।”
জাতিসংঘের তথ্যমতে, সাম্প্রতিক সময়ে রাখাইন থেকে এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়ে টাকা নিয়ে সীমান্ত পার করিয়ে দিচ্ছে। এপারে এসেও দালাল চক্রের কবলে পড়ে রোহিঙ্গারা সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মানবিকতার ধুয়া তুলে বাংলাদেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছিল। এখনো তাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা যায়নি। নতুন করে মানবিক করিডরের মাধ্যমে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।