বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ এতটাই নেতিবাচক যে তা “ডাস্টবিনের মতো” হয়ে গেছে। তিনি বলেন, একজন শিক্ষিত নারী, যিনি একটি সম্মানিত পেশায় যুক্ত এবং একটি ভালো পরিবারের সন্তান, কেন এমন নোংরা রাজনৈতিক পরিবেশে প্রবেশ করবেন, তা বোঝা কঠিন।
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া, স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা, বট আইডি ও এআই-এর কারণে রাজনীতি এখন পুরোপুরি ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যোগ্য নারীরা কেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন যদি দলের উপর আস্থা রাখার মতো পরিস্থিতি না থাকে।
বিএনপি এ বছর মোট ২৩৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে, যার মধ্যে ১০ জন নারী। বিশ্লেষকরা উল্লেখ করছেন, দেশের রাজনীতিতে নারী নেতৃত্বের পরিমাণ ক্রমশ কমছে, এবং কোনো কোনো দল নারী নেতৃত্বের মাত্র ৩৩ শতাংশও পূরণ করতে পারেনি।
এক বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে রুমিন ফারহানা বলেন, বড় রাজনৈতিক দলগুলোতে যোগ্য নারী নেতৃত্বের অভাব নেই, তবে পুরুষদের তুলনায় সংখ্যা কম। তিনি জানান, ১০০ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৩–৪ জন নারী মনোনয়ন পাওয়াটা অত্যন্ত কম এবং যথেষ্ট নয়।
তিনি বলেন, সরকার মনে করে ছোট দলগুলো স্বাধীনভাবে বিকশিত হতে পারে না। তারা সাধারণত বড় দলের সমর্থন নিয়ে সংসদে প্রবেশ করে। তাই নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে—যদি কোনো দলের নিবন্ধন ও প্রতীক থাকে, প্রার্থীকে সেই দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে।
রুমিন ফারহানা মন্তব্য করেছেন, বিএনপি স্পষ্টভাবে বলেছে, যারা দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে রাজনীতি করছে, তাদের সংসদে নির্বাচিত হওয়ার আশা থাকে। বড় দলগুলো সেই সুযোগ অনুযায়ী জোট তৈরি করেছে, এবং ছোট দলগুলো স্বাধীনভাবে বিকশিত হতে পারছে না।











