কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী রেলপথ অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
এর আগে দাবির সপক্ষে গতকাল রবিবার (২৬ অক্টোবর) তিন দিনের কর্মসূচি শুরু করে উপজেলাবাসী। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার সকাল ১০টায় ভৈরব রেলস্টেশনে লাল কাপড় নিয়ে জড়ো হতে থাকে মানুষ।
একপর্যায়ে নোয়াখালী থেকে ভৈরবে বিরতিহীন উপকূল ট্রেনটি স্টেশন অতিক্রম করার সময় বিক্ষোভকারীরা লাল কাপড় নিয়ে রেলপথ অবরোধ করলে ট্রেনটি স্টেশনে থেমে যায়। এ সময় দাবির সপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। তারা ইট দিয়ে প্ল্যাটফরমের এক নম্বর লাইন বন্ধ করে দেয়। এ সময় স্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ সমবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী মো. শাহীন, আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী মুহাম্মদ জোনায়েদ প্রমুখ।
বেলা পৌনে ১২টায় সেখানে আটকে থাকা উপকূল ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন অতিক্রম করতে চাইলে বিক্ষোভকারীরা ট্রেনের ইঞ্জিনের দিকে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকেন। এ সময় দুই যাত্রী আহত হন। পরে দুপুর ১২টায় অবরোধ প্রত্যাহার করলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে প্ল্যাটফরম ত্যাগ করে। বক্তারা বলেন, ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা ঘোষণা করা হয় ২০০৯ সালে।
এতে পরীক্ষামূলক কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে জেলা ঘোষণার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। এর মধ্যে ১৫ বছর কেটে গেছে। বর্তমান সরকার ভৈরবকে জেলা ঘোষণা না করলে আগামী দিনে বড় ধরনের কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা। তিন দিনের কর্মসূচির শেষ দিন আগামীকাল মঙ্গলবার নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি রয়েছে।











