মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন নেহাল আহমেদ জিহাদ নামের এক যুবক। শনিবার (১০ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম।
মারধরের ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৯ মে) রাত ৯টার দিকে ঢাকাগামী ‘এমভি ক্যাপ্টেন’ নামের একটি লঞ্চে। অভিযোগ, ওই লঞ্চে ‘ব্যাচেলর পার্টি’র নামে চলছিল মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ, যা নিয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠে স্থানীয় জনতা।
স্থানীয়দের দাবি, লালমোহন থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জ ঘাটে নোঙর করলে তারা মাদক ও অশ্লীলতার অভিযোগে লঞ্চে হানা দেন। তৃতীয় তলার কয়েকটি কক্ষ থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়, এ সময় দুই তরুণীসহ কয়েকজনকে মারধরের ঘটনা ঘটে। লঞ্চে ভাঙচুরও করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং লঞ্চটি ছেড়ে যায়।
লঞ্চে থাকা শান্ত নামের এক তরুণী জানান, তারা ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছিলেন। কিন্তু ঘাটে পৌঁছেই তারা হামলার শিকার হন।
এদিকে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নেহাল আহমেদ জিহাদ নামের ওই যুবক দুই তরুণীকে মারধর করছেন। পরে তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণের আগে তিনি সাংবাদিকদের জানান, “আমি কয়েকটি আঘাত দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি, না হলে মেয়েদের সঙ্গে আরও খারাপ কিছু ঘটতে পারত।” তিনি বলেন, “মারধর ঠিক হয়নি, ভাই হিসেবে কাজ করেছি—এর জন্য দুঃখিত।”
ঘটনার তদন্ত করছে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।