নিজস্ব প্রতিবেদক : হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন মুক্তার। পরে জানা গেলো লো-ব্যাক পেইন নামক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।
ইতোমধ্যে শরীরের মধ্যাংশ থেকে নিচের দিকে অবশ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে চলাফেরা করতে পারেন না। বিছানাই তার বিশ্বব্রহ্মাণ্ড হয়ে গেছে।
শুরুতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে। অবস্থা জটিল হয়ে পড়ায় ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসা করাতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন মুক্তার। ভরসার আর কেউ না থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারের অন্য সদস্যরাও। ধার দেনার চাপ বাড়ছে। পরিপূর্ণ সুস্থ হতে কত সময় লাগবে তাও জানা নেই। প্রতি পদে তাই হিমশিম খাচ্ছে পরিবারটি।
আসুন পাশে থেকে সুস্থ করে তুলি মুক্তারকে। মুক্তার টাঙ্গাইলের তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিক মুক্তার হাসান।
যদিও বাম হাতের কব্জিবিহীন অবস্থায় জন্ম তার; তবুও অন্য আর দশটি অঙ্গ বিচ্ছিন্ন মানুষের মতো হীনমন্যতা ছিল না তার।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে আত্মসম্মান নিয়েই বেড়ে উঠেছেন। বেছে নিয়েছেন সাংবাদিকতার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশা।
স্থানীয় দৈনিক কালের স্রোতের স্টাফ রিপোর্টার এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত অনলাইন গণমাধ্যম কালের কাগজ ডটকমের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
স্বল্প উপার্জন হলেও পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। হয়ে উঠেছেন পরিবারের আশা ভরসার কাণ্ডারি। লড়াই সংগ্রাম করেও ছয় সদস্যের সংসার ঠিকই চালিয়ে নিচ্ছিলেন।
বাঁচার আকুতি নিয়ে মুক্তার হাসান বলেন, আমি ছাড়া পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিক মুক্তার হাসানের সুচিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে। তাকে সাহায্যের জন্য বিকাশ ০১৭২৪১৯১৯৪৭ ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের ০০১৮১০০০০০৪৫৪ এই অ্যাকাউন্ট নম্বরে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে পারেন।
আপনার সামান্য সহযোগিতার কারণে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠবেন মুক্তার। বেঁচে যাবে প্রতিশ্রুতিশীল একজন তরুণ সাংবাদিক।