হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনের পর স্ট্রং রুমের ভল্ট থেকে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র চুরি হয়েছে। এই চুরির বিষয়টি গত রোববার নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ধরা পড়ে।
চুরি হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম ৪ কারবাইন এবং ব্রাজিলের টরাস পিস্তল। কতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় জিডি করা হয়েছে এবং পুলিশ সদর দপ্তরকেও অবহিত করা হয়েছে।
বিমানবন্দর নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ১৮ অক্টোবর কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুন লাগে। ১৭ ঘণ্টা ধরে আগুনে প্রায় পুরো আমদানি করা মালপত্র পুড়ে যায়। তবে স্ট্রং রুমের ভল্টে রাখা মালামাল অক্ষত ছিল।
ভল্টে রাখা ছিল মূল্যবান নথি, শুল্কসংক্রান্ত দলিল, সোনা, হীরা এবং বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র। ভল্ট থেকে পণ্য-নথি বের করতে একাধিক সংস্থার কর্মকর্তার স্বাক্ষর প্রয়োজন।
২৪ অক্টোবর প্রথম দফায় ভল্ট পরিদর্শনের সময় দেখা যায়, ২১টি অস্ত্রের মধ্যে কিছু আংশিক পোড়া অবস্থায় ছিল। পরে দ্বিতীয় দফায় পুনরায় পরিদর্শনে দেখা যায়, সাতটি অস্ত্র অনুপস্থিত। অবশিষ্ট ১৪টি অস্ত্র পুলিশের কাছে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এম ৪ কারবাইন সাধারণত পুলিশের স্পেশাল ইউনিট (SWAT) ব্যবহার করে এবং এটি একটি ৫.৫৬ মিলিমিটার ক্যালিবারের গ্যাসচালিত কারবাইন।
চুরির ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বেবিচক এবং গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা তদন্তে লিপ্ত। তবে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সিসিটিভি ক্যামেরার কারণে সরাসরি ফুটেজ পাওয়া যায়নি। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এই ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে।











