নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাক্ষাতের সাক্ষাতের বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে।
এ জন্য আমরা টাঙ্গাইলের মানুষ তাকে নিয়ে গর্ব, অহংকার করি। রাজনীতিতে নানা ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে, চিন্তা চেতনায় কিছুটা দ্বিধাবিভক্তি এসেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে তিনি দেখা করতেই পারেন।
দেখা করার অর্থ এই নয় যে, তিনি কালই আওয়ামী লীগে চলে আসবেন বা আওয়ামী লীগ করবেন। এটা রাজনৈতিক কৌশল।
আপনাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। রাজনৈতিক নীতির আলোকেই জননেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেবেন। এটা নিয়ে কোনো ভাবনার কারণ আছে বলে আমি মনে করিনা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা কেন্দ্রীয় মাঠে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম পুনরায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি জামায়াত, রাজাকার, আলবদরদের নিয়ে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।
তারা বলেছিলো গত ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন ঘটিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ পরিচালনা করবে। এতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
৩০ তারিখে গণমিছিল করবে। এতেও তারা ব্যর্থ হবে। প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় তিনি জেলখানা থেকে নিজ বাড়িতে রয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, অতীতে আন্দোলনের নামে দোকানে আগুন দিয়েছে, জীবন্ত মানুষকে হত্যা করেছে।
তারা আবারও সেই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। সেই রকম ঘটনা আমরা বাংলাদেশ হতে দিব না।
আন্দোলন করে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। বৈধ সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে এসেছে।
আরেকটি নির্বাচন করে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। বিএনপির হুমকি-ধামকি আমরা রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করব।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দেশি-বিদেশি কোন শক্তির উপর নির্ভরশীল নয়।
বিদেশে আমাদের কোন বন্ধু নাই, জনগণই আমাদের বন্ধু; দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে।
এই মহাসড়কের গতিকে আরও গতিশীল করব এটাই আমাদের লক্ষ্য। সম্পাদনা – অলক কুমার