বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়েছে, তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বুধবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর জানান, টিকা কার্যক্রম অব্যাহত আছে — ইতিমধ্যে ১৭ লাখ ডোজ বিতরণ হয়েছে এবং ১৪ লাখ টিকা মজুদ রয়েছে ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা আশেপাশের দেশগুলোর তুলনায় নিন্ম। বর্তমানে ২৮ হাজার র্যাপিড কিট পাওয়া গেছে এবং ১০ হাজার আরটিপিসিআর কিট সংগ্রহ প্রক্রিয়াধীন — আন্তর্জাতিক ও বন্ধু রাষ্ট্রের মাধ্যমে আরও কিট আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ।
বর্তমানে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট কতটুকু ভয়াবহ, তা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কোনো গবেষণা গৃহীত হয়নি — সময়ের সাথে হাতে আরও তথ্য আসবে, জানিয়েছেন স্বাস্থ্য আধিদফতরের একজন কর্মকর্তা ।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে নেওয়া পদক্ষেপসমূহ:
আন্তর্জাতিক যাতায়াত কেন্দ্রগুলোতে (স্থল, নৌ, বিমান) আইএইচআর ডেস্কে নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরীকরণ
গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মাস্ক ব্যবহার বিষয়ক নির্দেশনা
জ্বর, হাঁচি, কাশির লক্ষণ থাকলে বাসায় থাকা ও স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরামর্শ
🔎 সারসংক্ষেপ
সংক্রমণ: সামান্য বৃদ্ধি, তবে আতঙ্কের অবকাশ নেই
টিকা: মোট ৩১ লাখ ডোজ মজুদ ও বিতরণ ব্যবস্থা চলছে
টেস্ট কিট: যথেষ্ট র্যাপিড কিট এবং আরও আরটিপিসিআর কিট সংগ্রহ চলছে
ভ্যারিয়েন্ট: নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত, তবে ভয় পাওয়ার মত পরিস্থিতি না
নিরাপত্তা নির্দেশনা: মাস্ক, আইএইচআর নজরদারি, উপসর্গে স্বাস্থ্য পরীক্ষা
স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশেষজ্ঞরা মানুষকে শান্ত থাকতে বলছেন, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য গুরুত্ব দিচ্ছেন — এটি করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।