দেশের উত্তরাঞ্চলে নতুন আতঙ্ক হিসেবে হাজির হয়েছে অ্যানথ্রাক্স। মূলত গবাদি পশুর মধ্যে দেখা যাওয়া এই রোগ মানবদেহেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সম্প্রতি নতুন করে আটজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া এলাকার কিছু ফ্রিজে রাখা মাংসেও রোগটির জীবাণু মিলেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সংক্রমণ মূলত ঘটে আক্রান্ত পশুর মাংস খাওয়ার মাধ্যমে। অনেক সময় মানুষ অজান্তে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর মাংস কিনে নেন। তবে বিক্রেতা বা খামারিও বুঝতে পারেন না যে পশুটি এই রোগে আক্রান্ত। এছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আক্রান্ত পশু বিক্রি করে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছেন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্তৃপক্ষ বলছেন, মানুষ যদি না জানে এবং অ্যানথ্রাক্সযুক্ত মাংস খায় বা বিক্রি করে, তবে তা দুর্ঘটনার অংশ হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু জেনে-শুনে কেউ অন্যকে বিপদে ফেললে তা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
ধর্মীয় দিক থেকেও সতর্কবার্তা রয়েছে। কোরআন ও হাদিসে বলা হয়েছে, অন্যকে ক্ষতি করা নিষিদ্ধ। ত্রুটিযুক্ত বা বিপজ্জনক জিনিস knowingly বিক্রি বা খাওয়া ইসলামে অমঙ্গলকর ও পাপ। ব্যবসায়ীরা যদি সততা অবলম্বন করেন এবং পণ্যের ত্রুটি প্রকাশ করেন, তাহলে ব্যবসায় বরকত থাকে। অন্যথায়, মিথ্যা বা ধোঁকা ব্যবসার বরকত নষ্ট হয়।
সুতরাং, বিশেষজ্ঞরা ও ধর্মীয় দিক নির্দেশনা অনুযায়ী, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত মাংস থেকে দূরে থাকা, বাজার থেকে সতর্কভাবে মাংস কেনা এবং জীবাণুমুক্ত খাবার নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।