সংস্কার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা অর্জনকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে এই মতপার্থক্যের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে কোনো বাধা সৃষ্টি হবে না বলে মনে করছেন কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রিয়াজ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো ১৬৬টি সংস্কার সুপারিশ নিয়ে গত ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত আলোচনায় উঠে আসা বহু প্রস্তাব নিয়ে রয়েছে মতবিরোধ। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, গণপরিষদ নির্বাচন ও সংবিধান সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান ভিন্ন।
কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রিয়াজ বলেন, “সব সংস্কার একসাথে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে কমিশন। আলোচনার মাধ্যমে সময়মতো নির্বাচনের পথ সুগম হবে।”
একইসঙ্গে মনির হায়দার জানান, “যেসব দল দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করে, তাদের মতামতের ভিত্তিতেই সংস্কার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হবে।”
তবে মতপার্থক্য সত্ত্বেও কমিশন আশাবাদী যে, সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমেই রাজনৈতিক সমঝোতা সম্ভব হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে।