সখীপুরে “অনুপ্রবেশকারী”-“বিদ্রোহীদের” দলীয় প্রার্থী করতে সুপারিশের অভিযোগ

সখীপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের সখীপুরে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নের তালিকায় ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও ‘বিদ্রোহীদের’ নাম শীর্ষে রেখে সুপারিশ করার অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় উপজেলা তৈলধারা বাজারে কাঁকড়াজান ইউনিয়ন আ’লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল খালেক

এ সময় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে কাঁকড়াজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ৪ অক্টোবর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা করে পাঁচজনের একটি তালিকা উপজেলায় পাঠানো হয়।

৫ অক্টোবর উপজেলা থেকে জেলায় ও ৬ অক্টোবর জেলা থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে প্রার্থীদের নাম পাঠানো হয়।

তারা জানান, জেলা থেকে কেন্দ্রে পাঠানো ওই তালিকায় দলে অনুপ্রবেশকারী ও বিদ্রোহীদের নাম রয়েছে।

অথচ কেন্দ্রীয় নেতারা সবসময় বলে আসছেন অনুপ্রবেশকারী ও বিদ্রোহীদের কোনোভাবেই মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

আবদুল খালেক লিখিত বক্তব্যে বলেন, দুলাল হোসেন দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতি করেছেন।

২০০১ সালে বিএনপি থেকে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগে যোগদান করে কাঁকড়াজান ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।

২০১৬ আনুষ্ঠানিকভাবে দুলাল হোসেন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে একই বছর কাঁকড়াজান ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান।

দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ওই বছরই দুলাল হোসেন নৌকার বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে নৌকা প্রতীকের সঙ্গে পরাজিত হন।

এবারও তিনি নৌকার মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

নেতৃবৃন্দের বক্তব্য –

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবু সাঈদ বলেন, ‘দুলাল হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হলে, উপজেলা থেকে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে; প্রয়োজনে আমরা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করব।’

সংবাদ সম্মেলন শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বাদল বলেন, ‘আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে সুপারিশ করার তালিকার মূল্যায়ন না করে দলে অনুপ্রবেশকারী ও বিদ্রোহীদের নাম তালিকার শীর্ষে রেখে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের মূল্যায়ন না করে দলে অনুপ্রবেশকারী ও বিদ্রোহীদের মনোনয়ন দেওয়া হলে তৃণমূলে থাকা ত্যাগী নেতা-কর্মীরা কষ্ট পাবেন; এতে করে দলের ভীষণ ক্ষতি হবে।’

উল্লেখ্য, আগামী ১১ নভেম্বর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার