টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের রতনপুর খন্দকারপাড়া এলাকায় মেহেদী হাসান (২০) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।
পরে সখীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত মেহেদী পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তার বাবার নাম আব্দুল বারেক। বাড়ি রতনপুর পূর্বপাড়া এলাকায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিবেশী ফরমান আলীর মেয়ের (১৪) সঙ্গে মেহেদীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যা মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি। সম্পর্কের কারণে দুইজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়ভাবে আপস মীমাংসা করে মেহেদীর পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তবে তিন দিন পর মেয়েটি আবারও পালিয়ে গেলে তার ভাই সাব্বির হোসেন (২৫) তাকে ফিরিয়ে আনে। স্থানীয়দের দাবি, এর পর থেকে মেয়ের বাবা ও ভাই মেহেদীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল এবং তাকে “দেখে নেওয়ার” হুমকি দিয়েছিল। তিন দিন পরই তার মরদেহ বাড়ির উঠোনে পাওয়া যায়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্কের জেরেই মেহেদীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ফরমান আলী ও তার ছেলে সাব্বির পলাতক। তারা তাদের ফোনও বাড়িতে রেখে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সখীপুর থানার ওসি আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, “প্রাথমিকভাবে মেহেদীর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।”











