৫ তারিখের পরে আপনারা আমরা সকলেই দেখেছি, যতটুকু না রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উপরে এই দেশের জনগণের আক্রোশ ছিলো, তার থেকে বেশি আক্রোশ ছিলো পুলিশ প্রশাসনের উপরে। কারণ তাদের কৃতকর্মের ফল জনগণ দিয়েছে। এসময় তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জনজীবন একসাথে চলতে পারে না। তাই তিনি সন্ত্রাস নির্মূলের দাবি জানান তিনি। ঠিকাদার রানার উপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। একটি ক্লুলেস ঘটনাকে উদঘাটনের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, শুধু উদঘাটন করলেই হবে না, এর সাথে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তিকেই আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
টাঙ্গাইলের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো’র) ঠিকাদার রানা আহমেদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ সভায় জেলা যুবদলের আহবায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, এই শহরটি আজ কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। তিনি পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন। দায়িত্ব পালন না করার খেসারত ৫ আগস্টের পূর্বে আপনারা দিয়েছেন। আপনারা যেভাবে রাজনৈতিক দলের পদলেহন করতে গিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন, যারা সন্ত্রাসকে লালন পালন করেছেন, যারা সন্ত্রাসীদের প্রশয় দিয়েছেন, আবারো সেদিকে না গিয়ে নিজেদেরকে আবারো জনগণের ধিকৃত হিসেবে নিজেদেরকে উপস্থাপন করবেন না।
প্রতিবাদ সভায় আহবায়ক আসাদুজ্জামান রিপন সভাপতিত্ব করেন। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে ময়মনসিংহ রোডের ডিস্ট্রিক গেট বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ সভার আয়োজন করা হয়।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, এখনো পুরানো ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে দাবি করে বলেন, তারা আপনাদের নাকের ডগায়, চোখের সামনে সেটি ঘটছে। তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি ভয় পায়, তাহলে চাকরি ছেড়ে দেন, না হলে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনুন।
এই প্রতিবাদ সভায় যারা বক্তব্য রাখেন –
প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- জিআইপির চেয়ারম্যান এমরান হোসেন, বিউবো’র ঠিকাদার সমিতি’র মুখ্য সমন্বয়ক জোবায়ের আলম রিপন, বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা উজ্জ্বল মিয়া, ঠিকাদার মনির হোসেন ও ভূক্তভোগী ঠিকাদার রানা আহমেদ প্রমুখ। সভাটি সঞ্চালনা করেন জুবায়ের আলম রিপন। সভায় স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
যা ঘটেছিল –
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে সোমবার দুপুরে শহরের বেলটিয়াবাড়ী মোড়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার পলাশতলী এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রানা আহাম্মেদ (৫৫) সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। এসময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে সন্ত্রাসীরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন রানা আহামেদকে। পরবর্তীতে তার স্ত্রী মীরা আক্তার বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ যুবলীগ নেতাসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের কয়েকদিন পর আসামীরা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।