বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় বিধিমালায় আসছে ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো—দরপত্রে ১০ শতাংশের কম বা বেশি মূল্যসীমার বিধান বাদ দেওয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিধান থাকায় আগে থেকেই সরকার নির্ধারিত দর জেনে ঠিকাদাররা সুবিধা নিত এবং বড় ঠিকাদাররা একাধিক কাজ পাওয়ার সুযোগ পেত।
নতুন সংশোধনীতে এই সীমা বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধান যুক্ত করা হবে। বর্তমানে খসড়াটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদনের পর এটি আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে এবং ভেটিং শেষে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের আইএমইডি সম্মেলন কক্ষে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০২৫’ নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। সেমিনারটি আয়োজন করে বিপিপিএ (Bangladesh Public Procurement Authority), সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস।
নতুন বিধিমালার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলো:
-
সরকারি ক্রয়ে ই-জিপি (e-GP) ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা
-
ইকনোমিক অপারেটরদের মালিকানা তথ্য প্রকাশ
-
টেকসই সরকারি ক্রয় ধারণা যুক্তকরণ
-
ভৌত সেবা আলাদা ক্রয় ক্যাটাগরি
-
ফ্রেমওয়ার্ক ক্রয়ের পরিসর বৃদ্ধি
-
ডিবারমেন্টে আপিলের সুযোগ
-
সামাজিক ক্রয় উপাদান সংযোজন (নারী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, নতুন প্রতিষ্ঠান ও ক্ষুদ্র উদ্যোগের জন্য বিশেষ সুবিধা)
-
ইলেকট্রনিক রিভার্স অকশন চালু
-
চুক্তি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ করা
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আইএমইডি সচিব মো. কামাল উদ্দিন এবং সভাপতিত্ব করেন বিপিপিএর সিইও এসএম মঈন উদ্দীন আহম্মেদ।
আইএমইডি সচিব বলেন, “সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাল হলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে আসবে। খসড়াটি দ্রুত অনুমোদনের পর আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।”