বাসাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণপাড়িল সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে শাহিনুর রহমান পান্নার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পৌরসভার মেয়র আব্দুর রহিম আহমেদ।
জানা যায়, বাসাইল উপজেলার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ব্রাক্ষণপাড়িল সেকান্দার মাষ্টার বাড়ি হতে চেলাবাড়ি হয়ে বাসাইল – পাথরঘাটা রাস্তা পর্যন্ত রাস্তা রয়েছে।
এই রাস্তা দিয়ে আশপাশের অন্তত একশতটি পরিবার মেইন রাস্তায় আসেন।
কিন্তু ৩০/৩৫ বছর আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান পান্না রাস্তাটি দখল করে একটি ঘর নির্মাণ করেছেন।
এলাকাবাসীর আপত্তির পরও সে টিনের ঘর নির্মাণ করেছেন। যার ফলে স্থানীয়দের চলাচলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি রাস্তা থেকে ঘর সরানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ষাটোর্ধ বৃদ্ধ আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, রাস্তাটি এলাকাবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই রাস্তা দিয়ে আমরা ছোট সময় বাজারে যাইতাম, ভ্যান গাড়িতে করে প্রয়োজনীয় মালপত্র বাড়িতে আনতাম।
কিন্তু ৩০ বছর ধরে পান্না ঘর নির্মাণ করেছে, তাতে রাস্তাটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এলাকাবাসীর দাবীতে পৌর মেয়র আমাদের রাস্তাটি পুনরায় যেন চলতে পারি তার জন্য পাকাকরনের কাজ করে দিবে কিন্তু পান্নার ঘরের জন্য তা করা সম্ভব হচ্ছে না।
রুমা বেগম নামের এক নারী বলেন, রাস্তাটি দিয়ে আমরা চলাচল করলেও দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আমরা চলাচল করতে পারছিনা পান্নার ঘর নির্মাণের জন্য।
ঘরের মালিক শাহিনুর রহমান পান্না বলেন, আমি কোন সরকারি জমি দখল করিনি। এইটা সম্পন্ন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
পৌর মেয়র আব্দুর রহিম আহমেদ বলেন, একবছর আগে এই রাস্তাটি ট্রেন্ডার করি, যা মাটি ও এইচবিবি দ্বারা নির্মাণ করবে।
কিন্তু রাস্তাটি দখল করে ঘর নির্মাণের ফলে রাস্তাটি শেষ করা যায়নি।
এইটা নিরশনের জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি বরাবর আবেদন করেও কোন সুরাহা হয়নি। দখলকারী উল্টা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া আক্তার বলেন, উপজেলা সার্ভেয়ার সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে। প্রয়োজনে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করবো। সম্পাদনা – অলক কুমার