নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের বেঁধে দেওয়া ৩৫ টাকা কেজির আলু টাঙ্গাইলের বাজারগুলোতে বিক্রি করা হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
দোকানীরা তাদের ইচ্ছামতো সবজির দাম হাকছেন।
ফলে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সবজি কেনাটাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
শীতের সবজির কিছুটা আসলেও দাম আকাশছোঁয়া।
টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজার, বটতলা, ছয়আনি বাজার, সাবালিয়া পানির ট্যাংক বাজার, বৈল্যা, গাডাউন বাজার, নতুন বাসস্ট্যান্ড বাজার ঘুরে একই সবজির দামে পার্থক্য দেখা যায়।
পাশাপাশি দুই দোকানে একই সবজির দামেও পার্থক্য দেখা গেছে।
সব বাজারেই সরকারের বেঁধে দেওয়া ৩৫ টাকা কেজির আলু ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে শিম ১০০, পেঁয়াজ ৮০, কাঁচা মরিচ ২৪০, বেগুন ৬০-৭০, করলা ১০০, পটল ৬০, শশা ৫০, ঢেঁড়স ৬০, বরবটি ৮০, বগুড়ার মূলা ৫০, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কচুঁ লতা প্রতি আটি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা কেজি, কাঁচা মিষ্টি কুমড়া (ছোট সাইজ) ১০০ টাকা পিস, ফুলকপি ১০০, বাঁধাকপি ৬০, চিচিংগা ৬০, ধন্দুল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আর লাল শাক ৬০ টাকা কেজি, পুঁইশাক প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কলমি শাক ৪০-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ভেদে এসব সবজি ৫-১০ টাকা কমবেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
এসব বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতারা জানান, পার্কবাজার থেকে কাঁচমাল পাইকারী কিনে এনে বাজারে বিক্রি করে থাকেন।
পাইকারী বাজারে দাম বেশি থাকায় তারাও সে ধারাবাহিকতায় বিক্রি করছেন।
পাইকারী কেনা দামের চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে তারা সবজি বিক্রি করেন।
পার্কবাজারের পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা দেশের বিভিন্ন মোকাম থেকে মালামাল কিনে এনে পাইকারী বিক্রি করি।
মোকামে দাম বেশি থাকায় তারা ইচ্ছে করলেও কম দামে বিক্রি করতে পারিনা।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম জানান, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি।
কেউ মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে কিনা, সেটাও আমরা তদারকি করছি নিয়মিত।
মূল্য তালিকা টানিয়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
যারা আইন অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার