নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আহসানুল বাসার জানান, সরিষা উৎপাদনে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা হচ্ছে টাঙ্গাইল।
এ জেলায় চলতি মৌসুমে ৫২ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভোজ্য তেলের ঘাটতি মেটাতে শতকরা ১৫ ভাগ সরিষা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অতিরিক্ত ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন – ১০ দফা ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে টাঙ্গাইলে বিএনপির বিক্ষোভ
জেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার কৃষকের মাঝে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে কৃষকরা কাঙ্খিত ফলন পাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় চলতি মৌসুমে ৫২ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
কৃষি বিভাগ সূত্র আরো জানায়, এ অঞ্চলের কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল ও স্থানীয় উভয় জাতের সরিষা চাষ করেন।
দুই জাতের সরিষা নভেম্বরের শুরু থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত আবাদ করতে হয়।
ফসল ঘরে উঠতে সময় লাগে জাত ভেদে ৭০ থেকে ৯০ দিন।
কৃষকদের কথা –
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ছোটবাসালিয়া গ্রামের ফজলুল হক, নাজমুল ইসলাম, মগড়া গ্রামের রফিকুল, হাসমত আলী, ভ‚ঞাপুর উপজেলার ফলদা গ্রামের আব্দুল করিম, কামরুল ইসলাম, কালিহাতীর রুস্তম আলী, ধলা সাহা, রজব আলী, ধনবাড়ীর আব্দুল বারিক, রহিম মোল্লা, ফয়সাল হোসেন সহ অনেকেই জানান, বর্ষা মৌসুমে যেসব জমি পানির নিচে থাকে সেগুলোর পাশাপাশি এবার বাড়ির আনাচে-কানাচে থাকা জমিতেও সরিষা আবাদ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন – হেকমত চেয়ারম্যান ২ দিনের রিমান্ডে, এলাকায় মিষ্টি বিতরণ
ঝনঝনিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম মিঞা জানান, এবার সরিষার আবাদ বেশ ভালো হয়েছে।
তিনি ৩ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন।
হাল-চাষের খরচ ও অন্যান্য খরচ বেশি হওয়ায় কাঙ্খিত দাম নিয়ে তারা শঙ্কায় রয়েছেন।
সরকারি সহযোগিতা পেলে এবং সরিষার ভাল দাম পেলে এই অঞ্চলে আগামিতে সরিষা চাষ আরও বাড়বে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা – অলক কুমার