সোমবার, জুন ৯, ২০২৫
Khabar Bangla 24
No Result
View All Result
  • Login
  • হোম
  • সর্বশেষ
  • বিশেষ সংবাদ
  • টাঙ্গাইল জেলা
    • কালিহাতী
    • গোপালপুর
    • ঘাটাইল
    • টাঙ্গাইল সদর
    • দেলদুয়ার
    • ধনবাড়ী
    • নাগরপুর
    • বাসাইল
    • ভূঞাপুর
    • মধুপুর
    • মির্জাপুর
    • সখিপুর
  • সারাদেশ
  • অপরাধ
  • কৃষি
  • খেলা
  • অন্যান্য
    • জীবনযাপন
    • দুর্নীতি
    • দূর্ঘটনা
    • বাণিজ্য
    • বিশ্ব
    • স্বাস্থ্য
আর্কাইভ
Khabar Bangla 24
  • হোম
  • সর্বশেষ
  • বিশেষ সংবাদ
  • টাঙ্গাইল জেলা
    • কালিহাতী
    • গোপালপুর
    • ঘাটাইল
    • টাঙ্গাইল সদর
    • দেলদুয়ার
    • ধনবাড়ী
    • নাগরপুর
    • বাসাইল
    • ভূঞাপুর
    • মধুপুর
    • মির্জাপুর
    • সখিপুর
  • সারাদেশ
  • অপরাধ
  • কৃষি
  • খেলা
  • অন্যান্য
    • জীবনযাপন
    • দুর্নীতি
    • দূর্ঘটনা
    • বাণিজ্য
    • বিশ্ব
    • স্বাস্থ্য
No Result
View All Result
No Result
View All Result
Khabar Bangla 24
Home অন্যান্য

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি: বিবিসি বাংলার জরিপে ষষ্ঠ স্থানে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন-নারী জাগরণের একজন পথিকৃৎ

by নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ৩১, ২০২০
in অন্যান্য
A A

দু’হাজার চার সালে বিবিসি বাংলা একটি ‘শ্রোতা জরিপ’-এর আয়োজন করে। বিষয়টি ছিলো – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কে? তিরিশ দিনের ওপর চালানো জরিপে শ্রোতাদের ভোটে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ২০জনের জীবন নিয়ে বিবিসি বাংলায় বেতার অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় ২০০৪-এর ২৬শে মার্চ থেকে ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত।

বিবিসি বাংলার সেই জরিপে শ্রোতাদের মনোনীত শীর্ষ কুড়িজন বাঙালির তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে আসেন বেগম রোকেয়া। আজ তাঁর জীবন-কথা।

বাঙালির আধুনিক যুগের ইতিহাসে যে নারীর নাম গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় সেই নাম হচ্ছে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন – বেগম রোকেয়া।

বাঙালি সমাজ যখন ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতা আর সামাজিক কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিল, সেই সময় বেগম রোকেয়া বাংলার মুসলিম নারী সমাজে শিক্ষার আলো নিয়ে এসেছিলেন। বাঙালি মুসলমান নারী জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম একজন পথিকৃৎ।

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ১৮৮০ সালের ৯ই ডিসেম্বর রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে এক অভিজাত পরিবারে।

মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে তাঁর পরিবার ছিল খুবই রক্ষণশীল। সেসময় তাঁদের পরিবারে মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর কোন চল ছিল না।

আর তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় ঘরের বাইরে গিয়ে মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভেরও কোন সুযোগ ছিল না।

স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বেগম রোকেয়া

ছবির উৎস,উইকি আর্কাইভ

ছবির ক্যাপশান,স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বেগম রোকেয়া

তাই প্রথম জীবনে গোপনে দাদার কাছে একটু আধটু উর্দু ও বাংলা পড়তে শেখেন বেগম রোকেয়া।

তাঁর বড় দুভাই কলকাতায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে শিক্ষালাভ করেছিলেন। তাঁর বড় বোন করিমুন্নেসাও ছিলেন বিদ্যোৎসাহী।

শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে বড় দুভাই ও বোন রোকেয়ার জীবনকে প্রভাবিত করলেও তাঁর আসল লেখাপড়া শুরু হয়েছিল বিয়ের পর স্বামীর সাহচর্যে।

শিশু বয়সে মায়ের সঙ্গে কলকাতায় বসবাসের সময় তিনি লেখাপড়ার যে সামান্য সুযোগ পেয়েছিলেন, তা সমাজ ও আত্মীয়স্বজনের সমালোচনায় বেশিদূর এগোতে পারেনি, যদিও ভাইবোনদের সমর্থন ও সহযোগিতায় তিনি অল্প বয়সেই আরবী, ফারসি, উর্দু ও বাংলা আয়ত্ত করেছিলেন।

বিহারের ভাগলপুরে স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ের পর তাঁর জীবনে নতুন এক অধ্যায়ের শুরু হয়েছিল। কলকাতায় অধ্যাপিকা, গবেষক ও রোকেয়া সাহিত্য সমগ্রের সম্পাদক ড. মীরাতুন নাহার বলেন বেগম রোকেয়া খুব সুন্দরী ছিলেন এবং তাঁর বিয়ে হয়েছিল খুব কম বয়সে।

রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন

ছবির উৎস,সৌজন্যে: ইকবাল বাহার চৌধুরী

ছবির ক্যাপশান,রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন

“তাঁর স্বামী ছিলেন খুব উদার মনের মানুষ এবং খুবই শিক্ষিত ব্যক্তি। বেগম রোকেয়া কিছুটা উর্দু তো আগেই শিখেছিলেন। বিয়ের পর সেই শিক্ষা তাঁর উর্দুভাষী স্বামীর সহায়তায় আরও প্রসার লাভ করল। এবং স্বামীর কাছ থেকে ইংরেজিতে খুব ভাল দক্ষতা অর্জন করলেন। সুন্দর ইংরেজি রচনা করতে পারতেন তিনি।”

“তবে বাংলা ভাষার প্রতি তাঁর ছিল গভীর টান। বাংলা তিনি ছাড়লেন না। বাংলাতেই তিনি লেখালেখি শুরু করলেন,” বলেছেন ড. মীরাতুন নাহার।

বেগম রোকেয়ার সাহিত্যচর্চ্চার সূত্রপাতও হয়েছিল স্বামীর অনুপ্রেরণায়। তাঁর সাহিত্যজীবন শুরু হয় ১৯০২ সালে ‘পিপাসা’ নামে একটি বাংলা গদ্য রচনার মধ্যে দিয়ে। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে ছিল প্রবন্ধ সংকলন ‘মতিচুর’ এবং বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি ‘সুলতানার স্বপ্ন’।

তাঁর ‘সুলতানার স্বপ্নকে’ বিশ্বের নারীবাদী সাহিত্যের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসাবে ধরা হয়।

কলকাতার বই পাড়া কলেজ স্ট্রিট (ফাইল চিত্র)

ছবির উৎস,GETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,বেগম রোকেয়া বাংলার মুসলিম নারী সমাজে শিক্ষার আলো নিয়ে এসেছিলেন।

বেগম রোকেয়ার বিবাহিত জীবন বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।

উনিশশ’ নয় সালের তেসরা মে স্বামীর মৃত্যুর পর আত্মপ্রকাশ করলেন এক নতুন বেগম রোকেয়া। লেখালেখির বাইরে সমাজে বদল আনার দিকে এবং নারীশিক্ষার বিস্তারেও তিনি মন দিলেন।

বেগম রোকেয়াকে নিয়ে প্রথম তথ্যচিত্র নির্মাতা বাণী দত্ত বিবিসি বাংলাকে জানান কীভাবে কুসংস্কারের বেড়াজাল ডিঙিয়ে তিনি নারীদের শিক্ষাদানে ব্রতী হয়েছিলেন।

“বেগম রোকেয়া নিজেই বলে গেছেন তাঁকে ৫ বছর বয়স থেকে পর্দা করতে হতো। সেই পর্দাকে পরিণত বয়সে মনের ভেতর থেকে তিনি কখনই সমর্থন করেননি। কিন্তু মেয়েদের অভিভাবকরা যাতে তাদের স্কুলে পাঠায় তার জন্য তিনি নিজে পর্দা করে, বোরখা পরে মেয়েদের বাড়ি বাড়ি যেতেন।”

বাণী দত্ত বলেছেন বেগম রোকেয়া নিজের সব সুখ স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়ে তাঁর স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি আজ কলকাতার একটি নামকরা মেয়েদের সরকারি স্কুল -সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গালর্স হাই স্কুল।

সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গালর্স স্কুল

ছবির উৎস,সৌজন্য: ইকবাল বাহার চৌধুরী

ছবির ক্যাপশান,সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গালর্স হাই স্কুল কয়েকবার স্থান বদল করে এখন কলকাতার লর্ড সিনহা রোডে প্রথম সারির সরকারি মেয়েদের স্কুল।

স্কুলটি তিনি প্রথম শুরু করেন ভাগলপুরে ১৯০৯ সালের পয়লা অক্টোবর। তারপর পারিবারিক কারণে বেগম রোকেয়া ভাগলপুর ছেড়ে কলকাতায় এসে বসবাস শুরু করেন এবং ১৯১১ সালের ১৬ই মার্চ কলকাতার ১৩ নং ওয়ালিউল্লাহ লেনের একটি বাড়িতে নতুন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’।

আটজন ছাত্রীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল কলকাতায় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলের যাত্রা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক সোনিয়া আনিম বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন তিনি মনে করেন নারী হিসাবে মেয়েরা আজ যেখানে পৌঁছেছেন, তারা সেখানে পৌঁছতেন না, যদি নারীর উন্নতির জন্য বেগম রোকেয়ার মত মনীষীর অবদান না থাকত।

ধর্ম এবং সমাজের অনেক রীতিনীতি বেগম রোকেয়া মেনে নিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু একটা রক্ষণশীল পরিবারে বড় হয়ে ওঠার পরেও তিনি সমাজের প্রচলিত ব্যবস্থাগুলোকে উপেক্ষা করে এগোতে পেরেছিলেন, বলেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আয়েষা খানম (বর্তমানে সংস্থার সভাপতি)।

Getty
নারীর শিক্ষাগ্রহণ, নারীর বাইরে চলাফেরা এবং কাজের অধিকার, স্বাধীন চিন্তা-চেতনার অধিকার, এই বিষয়গুলো যে নারীর মুক্তির সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ সেসব কথা বেগম রোকেয়া সারা জীবন বলে এসেছেন।
আয়েষা খানম
সভাপতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

“তাঁর সমস্ত কিছুর মাঝে যে একটা প্রচণ্ড ধরনের বিদ্রোহ ছিল- প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা, নারীর প্রচলিত অবস্থান, নারীর প্রতি তৎকালীন সমাজের প্রচলিত যে দৃষ্টিভঙ্গি -এসব কিছু নিয়ে সমাজের বিবেককে তিনি চাবুক দিয়ে কষাঘাত করেছিলেন।”

“নারীর শিক্ষাগ্রহণ, নারীর বাইরে চলাফেরা এবং কাজের অধিকার, স্বাধীন চিন্তা-চেতনার অধিকার, এই বিষয়গুলো যে নারীর মুক্তির সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ সেসব কথা বেগম রোকেয়া সারা জীবন বলে এসেছেন,” বলেন আয়েষা খানম।

নারীর এগিয়ে চলার জন্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং নারী পুরুষের মধ্যে সমতার পক্ষে তিনি যুক্তি তুলে ধরেছেন তাঁর লেখা ও কাজে। সমাজে নারীর অসম অবস্থানের কথা সবসময়ে ফুটে উঠেছে তাঁর দৃপ্ত কলমে।

তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন নারী সমাজকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রেখে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি কখনই সম্ভবপর নয়। সারা জীবন তিনি পিছিয়ে থাকা নারী সমাজকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে অধিকার সচেতন করে তোলার প্রয়াস নিয়েছিলেন।

সারা জীবন নারী মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন বেগম রোকেয়া। ড. সোনিয়া আনিম মনে করেন তখন বাঙালির যে নবজাগরণ ঘটেছিল সেই প্রেক্ষাপটে বাংলার মুসলিম সমাজেও নবজাগরণের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত ছিল।

“সেখানে বেগম রোকেয়ার মত একজন মনীষীর প্রয়োজন ছিল বাঙালি নারীর নবজাগরণের পথ প্রশস্ত করার জন্য।”

১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম নারীদের সংগঠন আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন।

পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়।

ছবির উৎস,ইকবাল বাহার চৌধুরীর সৌজন্যে

ছবির ক্যাপশান,রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে বেগম রোকেয়ার জন্মস্থানে ছড়িয়ে আছে বিশিষ্ট এই নারী শিক্ষাবিদের অবদানের স্মৃতিবহনকারী স্কুল সহ বহু প্রতিষ্ঠান।

বিবিসি বাংলাকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কেতকী কুশারী ডাইসন বলেছেন বাংলার নবজাগরণের মত বড় একটা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছিলেন বেগম রোকেয়া, কিন্তু নারী মুক্তির বাস্তব পথ দেখাতে তাঁর অবদান ছিল বিশাল।

“তাঁর অর্জনের পেছনে ওই নবজাগরণ নি:সন্দেহে একটা বড় প্রেরণা ছিল। কিন্তু সে সময় আরও অনেকে হয়ত একইভাবে ভাবছিলেন, একইধরনের কর্মে আত্মনিবেদন করেছিলেন। কিন্তু বেগম রোকেয়ার যে কাজটা সবার থেকে আলাদা হয়ে উঠেছিল তা হলো মেয়েদের শিক্ষার জন্য তাঁর সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠা, যেটা ছিল নারী শিক্ষার পথে একটা মস্ত বড় অবদান।”

আয়েষা খানম মনে করেন শুধু কথা দিয়ে বা শুধু বুদ্ধিজীবী মহলে নিজের চিন্তাচেতনার কথা ছড়িয়ে দিয়েই থেমে থাকেননি বেগম রোকেয়া।

“তিনি সমাজ গঠনে ব্রতী হয়েছিলেন। স্বল্প পরিসরে হলেও তিনি সংগঠন গড়ার একটা প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন। সাধারণ মেয়েদের মাঝে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি কৌশলীও ছিলেন। তাঁর বাস্তব-বোধও ছিল অসামান্য। তিনি যখন দেখলেন স্কুলে মেয়েদের আনতে গেলে তারা বে-পর্দা হয়ে যাচ্ছে, মুসলিম পরিবারগুলো মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চাইছে না, তখন তিনি নিজেই কিন্তু পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করে গেছেন।”

সমাজের অনেক প্রচলিত রীতিনীতি মেনেই তিনি তাঁর কর্মযজ্ঞ চালিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়েই তিনি নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং শুধু শিক্ষাগত মুক্তি নয়, সার্বিক মুক্তির কথা চিন্তা করেছেন।

নারী মুক্তি
ছবির ক্যাপশান,শুধু শিক্ষাগত মুক্তি নয়, নারীর সার্বিক মুক্তির কথা চিন্তা করেছিলেন বেগম রোকেয়া।

নারী জাতি এবং অর্থনৈতিক সাবলম্বন বিষয়ে তাঁর এক প্রবন্ধে তিনি নারী পুরুষের সমকক্ষতার যে আর্দশের কথা লিখে গেছেন তা আজকের দিনে নারী সমাজের জন্য একটা আদর্শ। তিনি জন্মেছিলেন সময়ের অনেক আগে।

“তাঁর অসামান্য একটা দূরদৃষ্টি ছিল। যার পরিচয় আমরা পাই তাঁর ‘সুলতানার স্বপ্নে’ যেখানে তিনি বলেছিলেন -যাহা যাহা পুরুষ পারিবে, তাহাই নারী পারিবে। সেখানে ছিল একটা অসাধারণ স্বপ্ন যে নারীরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছে,” বলেন আয়েষা খানম।

তাঁর লেখায় বর্ণিত রণকৌশল, রান্নার কৌশল, যানবাহন সবই সময়ের তুলনায় ছিল অনেক এগিয়ে।

“বেগম রোকেয়া বলেছিলেন মনে হয় ধর্ম গ্রন্থগুলো পুরুষের দ্বারা লিখিত। যা কিছু লেখা হয়েছে সবই নারীর বিপক্ষে। নীতি, প্রথা, দৃষ্টিভঙ্গি, আইন সর্বত্রই নারীর পক্ষে যে খুব কম কথা বলা হয়েছে সেটা তিনি তুলে ধরেছিলেন।”

পুরুষশাসিত সমাজের আচার অনাচার কুসংস্কার ও গোঁড়ামির বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করেছেন বেগম রোকেয়া। মুসলিম মেয়েদের প্রগতির জন্য তিনি সারা জীবন কাজ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন মেয়েদের সাবলম্বী হবার পথে, মুক্তির পথে শিক্ষার বিকাশই আসল রাস্তা।

বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জীবনাবসান হয় ১৯৩২ সালের ৯ই ডিসেম্বর।

সূত্র: bbc.com

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন

ইত্যাদির শুটিং বন্ধ নিয়ে জবাব দিলেন হানিফ সংকেত

কালিহাতী সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

বর্তমান প্রতিবেদনটির সাথে সম্পর্কিত

ইত্যাদির শুটিং বন্ধ নিয়ে জবাব দিলেন হানিফ সংকেত

ইত্যাদির শুটিং বন্ধ নিয়ে জবাব দিলেন হানিফ সংকেত

by নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ১১, ২০২৫
0

ঠাকুরগাঁওয়ে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির শুটিং চলাকালে মারামারি ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিচালক হানিফ সংকেত অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেন। তবে মধ্যরাতে স্বল্পসংখ্যক দর্শক নিয়ে...

কালিহাতী সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

by নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৭, ২০২৪
0

মানব বন্ধন নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রারের কক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার হুমকির প্রতিবাদ ও সাব-রেজিস্ট্রাররের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কালিহাতী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা। বুধবার (২৬ জুন)...

টাঙ্গাইলে সৃষ্টি হয়েছে রাসেল ভাইপার আতংক। সর্তক অবস্থানে স্বাস্থ্য বিভাগ

by নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৩, ২০২৪
0

রাসেল ভাইপার বিশেষ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে শহরের সাবালিয়া পাঞ্জাপাড়ায় শনিবার (২২ জুন) সকালে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের দেখা মিলেছে। পরে সেটিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। টাঙ্গাইল...

টাঙ্গাইলে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল

by নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
0

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির উদ্যোগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে শহরে কালো পতাকা মিছিল করেছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয়...

ভারতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদলের দলনেতা থাকবেন টাঙ্গাইল-২ আসনে

by নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ৬, ২০২৪
0

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদলের দলনেতা ধর্মেন্দ্র শর্মা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষনের লক্ষ্যে টাঙ্গাইল-২ আসনের নির্বাচন পর্যবেক্ষন করবেন। তিনি ইলেকশন কমিশন অব ইন্ডিয়ার সিনিয়র ডিপুটি...

Next Post

সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন রইজ উদ্দিন

সর্বেশষ

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাত করতে টিউলিপের চিঠি

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাত করতে টিউলিপের চিঠি

জুন ৮, ২০২৫
স্ত্রীর জানাজায় অঝোরে কাঁদলেন বঙ্গবীর

স্ত্রীর জানাজায় অঝোরে কাঁদলেন বঙ্গবীর

জুন ৮, ২০২৫
ঈদ উৎসবে গান গেয়ে কয়েদিদের মাতালেন নোবেল

ঈদ উৎসবে গান গেয়ে কয়েদিদের মাতালেন নোবেল

জুন ৮, ২০২৫
বিপত্নিক হলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

বিপত্নীক হলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

জুন ৮, ২০২৫
যমুনা সেতু দিয়ে ৫ দিনে ২ লাখ ২৮ হাজার ৫৭ যান পারাপার

যমুনা সেতু দিয়ে ৫ দিনে ২ লাখ ২৮ হাজার ৫৭ যান পারাপার

জুন ৭, ২০২৫

সর্বাধিক পাঠিত

    Khabar Bangla 24

    এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি
    যোগাযোগ: ০১৯১১৪৫৯১৫১
    ই-মেইল:
    news@khabarbangla24.com

    Design & Developed by Tangail Web Solutions

    No Result
    View All Result
    • হোম
    • সর্বশেষ
    • বিশেষ সংবাদ
    • টাঙ্গাইল জেলা
      • কালিহাতী
      • গোপালপুর
      • ঘাটাইল
      • টাঙ্গাইল সদর
      • দেলদুয়ার
      • ধনবাড়ী
      • নাগরপুর
      • বাসাইল
      • ভূঞাপুর
      • মধুপুর
      • মির্জাপুর
      • সখিপুর
    • সারাদেশ
    • অপরাধ
    • কৃষি
    • খেলা
    • অন্যান্য
      • জীবনযাপন
      • দুর্নীতি
      • দূর্ঘটনা
      • বাণিজ্য
      • বিশ্ব
      • স্বাস্থ্য

    Design & Developed by Tangail Web Solutions

    Welcome Back!

    Login to your account below

    Forgotten Password?

    Retrieve your password

    Please enter your username or email address to reset your password.

    Log In
    Are you sure want to unlock this post?
    Unlock left : 0
    Are you sure want to cancel subscription?