১৬ বছর পর সংসদের বাইরে ঘোষণা হতে যাচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এ বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আগামী ২ জুন বিকেল ৩টায় বাজেট উপস্থাপনের কথা রয়েছে।
বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা, রাজস্ব ঘাটতি এবং বিনিয়োগ স্থবিরতার প্রেক্ষাপটে এ বাজেট হবে কিছুটা নিয়ন্ত্রিত ও বাস্তবসম্মত। অর্থ উপদেষ্টার লক্ষ্য—ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বাড়িয়ে বাজেট বাস্তবায়ন।
তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ঋণ করে বড় বাজেট নয়; বরং দক্ষতা, সৎ ব্যবস্থাপনা ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাসই থাকবে মূলনীতি। বাজেটে থাকবে না কোনো মেগা প্রকল্প কিংবা ‘মনুমেন্ট’ ভিত্তিক বরাদ্দ। প্রাধান্য পাবে ভৌত অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাত।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আগে বড় বড় বাজেট হয়েছে, কিন্তু অর্থের যথাযথ ব্যবহার হয়নি। এবার আমাদের লক্ষ্য—সৎ ব্যবহার এবং বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিশ্চিত করা।”
এবার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ। তবে তিনি বলেছেন, “জিডিপি প্রবৃদ্ধি যদি ৫ শতাংশে থাকে, সেটিও ইতিবাচক। বাস্তবসম্মত লক্ষ্যের মধ্যেই আমরা থাকব।”
পুঁজিবাজার নিয়ে থাকবে নীতিগত দিকনির্দেশনা ও সংস্কার উদ্যোগ। নেগেটিভ ইকুইটি সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি। নতুন আইপিও আনার দিকেও জোর দেওয়া হবে।
সব মিলিয়ে বাজেট হবে একটি মিতব্যয়ী ও বাস্তবমুখী পরিকল্পনার রূপরেখা—যেখানে জনগণের অর্থ সঠিক খাতে ব্যয় ও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা থাকবে অগ্রভাগে।