নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান (মুক্তি)কে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাকে আবার টাঙ্গাইল কারাগারে ফেরত নেয়া হয়।
টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার আব্দুল্লা আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত শুক্রবার সাবেক মেয়র মেয়র সহিদুর রহমান খান (মুক্তি) বুকে ব্যথা অনুভব করেন।
তখন কারাগারের ভিতরেই তাকে কার্ডিওলজিস্ট দেখানো হয়। তখন কিছুটা ভালো বোধ করলেও হালকা ব্যথা ছিল সহিদুর জানান।
পরে আজ সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে ইসিজি সহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে আনা হয়।
স্থাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান এই জেল সুপার।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আ’লীগ নেতা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পরে গোয়েন্দা পুলিশ রাজা ও মোহাম্মদ আলীর নামের দুইজনকে ২০১৪ সালের অগাস্ট গ্রেপ্তার করে। ওই দুই আসামির জবানবন্দীতে এ হত্যায় সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, তার তিন ভাই সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা, জাহিদুর রহমান খান কাকণ ও সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। তারপর পরই আমানুর ও সহিদুরসহ চার ভাই আত্মগোপনে চলে যান।
তারপর ছয় বছর পলাতক থাকার পর গত বছর ০২ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল ১১টার দিকে তিনি আদালতে আত্মসর্মপণ করে জামিন আবেদন করেন।
পরে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সম্পাদনা – অলক কুমার