বিশেষ প্রতিবেদক : সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের চাঁদা টাকা জমা রাখতো টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড়মনি।
এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম কালেরকণ্ঠ।
গত ৯ আগস্ট কালেরকণ্ঠ পত্রিকা তাদের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করে।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় এমপি-মন্ত্রীসহ আ’লীগের ৫৬ নেতা আসামী
শীর্ষস্থানীয় এই সংবাদ পত্রের ইউটিউব চ্যানেলের এই প্রতিবেদনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের “শুধু কারওয়ান বাজার থেকেই দৈনিক দেড় কোটি টাকা চাঁদাবাজি করতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান” শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদজ্জামান কামাল শুধু মাত্র কাওরান বাজার থেকেই প্রতিদিন দেড় কোটি টাকা চাঁদাবাজি করতেন।
প্রতিবেদনে যা বলা হয় –
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরো তেজগাঁও ও শেরে বাংলা নগর এলাকার চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির পুরো অর্থ যায় সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।
এসব টাকা তোলার জন্য তার ছিলো একটি বিশ্বস্ত সিন্ডিকেট।
সাবেক এই মন্ত্রীর নামে শুধু কারওয়ান বাজার থেকেই প্রতিদিন প্রায় দেড় কোটি চাঁদা তোলা হতো।
ফুটপাতে ব্যবসা, বাজার, মাদক এবং আবাসিক হোটেল থেকে উঠানো হতো এই চাঁদা।
এ টাকা মন্ত্রীর হাতে পৌঁছে দেয়ার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো মন্ত্রীর এপিএস মনির হোসেন সহ আরো দুইজনের কাছে।
মন্ত্রীর এই কালো টাকা জমা রাখতো আরো একটি সিন্ডিকেট। তাদের একজন গোলাম কিবরিয়া বড়মনি।
যিনি টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও টাঙ্গাইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই।
বড় মনি ২০২৩ সালে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হন। পরবর্তীতে ওই ছাত্রী অন্তস্বত্ত্বা হয়ে হয়ে পড়েন।
তবে বড়মনি জেল থেকে জামিনে বের হওয়ার পর পরই ওই ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনায় মামলা তদন্তের দায়িত্বে ছিল পিআইবি।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিআইবি প্রধান বনজ কুমারের মাধ্যমে তদন্তে প্রভাব খাটান বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
আরো পড়ুন – পাথরাইল স্কুলের প্রধান শিক্ষক দ্বীনবন্ধু এবং সভাপতি বড়মনির অপসারণ দাবি
পরে জেল থেকে বের হয়ে আবারো নতুন করে আরেক ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় ফেঁসে গেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহায়তায় বড়মনি দেশ থেকে পালিয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন প্রতিবেদক।
আরো যা আছে প্রতিবেদনে –
এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শেরে বাংলা নগরের এলাকায় চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতো ২৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজল।
বিভিন্ন সরকারি উন্নয়ন কাজ আটকে চাঁদা আদায়, প্রকৌশলীদের মারধর করা, হাসপাতাল কেন্দ্রীক ঠিকাদারী, ফুটপাত দখল এক হাতে নিয়ন্ত্রণ করতো এই কাজল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন কালেরকণ্ঠের প্রতিবেদক মাহদি হাসান।
প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, এই চাঁদার বেশির ভাগ টাকাই বিদেশে পাচার করেছেন।
এই টাকার ক্ষুদ্রাংশ দিয়ে শত কোটি টাকার সম্পদ কিনেছেন রাজধানীর তেজগাঁও, ধানমন্ডি, সেন্টমার্টিনসহ আশুলিয়া, গাজীপুরের মতো বিভিন্ন জায়গায়।