ভারতের সিয়াং উপরের মাল্টিপারপাস প্রজেক্ট, যা ভারতের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হিসেবে পরিচিত, তা অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উত্তেজনা ও স্থানীয় প্রতিবাদের সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক ড্রিলিং যন্ত্রপাতি ও কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েনের পর বিরোধ আরও তীব্র হয়েছে ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, “রাতের অন্ধকারে সেনা ও যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা হয়েছে… আমাদের কিছু না জানিয়ে কৃষিজমির পাশেই সব বসানো হয়েছে” । তাদের মতে, সিয়াং নদী—‘মাদার সিয়াং’—জীবনের উৎস; প্রকল্প অন্তত ৪২ টি গ্রামে প্রভাব ফেলবে এবং কেইস জমির ক্ষতি করছে ।
অন্যদিকে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গাফিলতির চিত্র তুলে ধরছে: এ প্রকল্প শুধুমাত্র বিদ্যুৎ ও জল নিরাপদে রাখবে না, চীন থেকে সুরক্ষা দেওয়ার কৌশল হিসেবে ব্যবহার হবে। তথ্যে বলা হয়েছে, ৭০ শতাংশ মানুষ সমর্থন দিচ্ছে । কিন্তু স্থানীয়রা এই সমর্থন দাবিকে ‘মিথ্যা’ ও ‘প্রতারক প্রচারণা’ বলছেন ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রকল্প চীনের মেডগ ড্যামের বিপরীতে ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপ; তবে তারা পরিবেশগত, সুমদ্রিক ও জলবায়ু ঝুঁকির দিকে সতর্ক করছেন ।
🔍 বিশ্লেষণ
দিক বিশদ সামরিক মোতায়েন কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনী এসব ড্রিলিং ও পূর্ব-প্রস্ততি কাজের নিরাপত্তার দায়িত্বে, যা স্থানীয়দের অসন্তোষের কারণ । রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট প্রকল্পটি চীনের মেডog ড্যামের জবাবে ভারতের আত্মপ্রত্যয় ও ভূ-রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে । স্থানীয় প্রতিক্রিয়া সিয়াং নদীর পবিত্রতা ধরে রাখা, কৃষিজমি-খোলা স্থানের উপর প্রভাব ও সাংস্কৃতিক ক্ষতির আশঙ্কা স্থানীয়দের মূল উদ্বেগ ।
আইনি ও সামাজিক বাস্তবতা গৌহাটি হাইকোর্ট সিয়াং নদীর ৪৪টি বাঁধ প্রকল্প বাতিল করার রায় দেয়, তবে এই বড় প্রকল্পের প্রি-ফিজিবিলিটি রেডি চলছে—আইনি-বৈধতার প্রশ্ন তুলছে ।
📌 সারাংশ: ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারছে প্রকল্পের কৌশলগত গুরুত্ব; আর স্থানীয়রা প্রতিষ্ঠিত অধিকার ও জীবিকার নিরাপত্তা চায়। চরম রাজনৈতিক ও সামাজিক সংলাপ ছাড়া প্রকল্পটির বাস্তবায়ন দিশাহীন হতে পারে।