ঘাটাইল সংবাদদাতা : আশা ছিল মেয়ে ও জামাই সুখে ঘর করবে। মেয়ে-জামাইকে নিজের কাছে রেখে নাতি-নাতনী নিয়ে আনন্দ ফ‚র্তিতে দিন কাটাবে। তার জন্য সকল আয়োজন ও প্রস্তুতিও করেছিলেন ইসমাইল হোসেন। কিন্তু বিধি বাম। তার এই আশা পূর্ণ হলো না। মেয়ের সুখের জন্য কাটা পুকুরেই ডুবে মারা গেল মেয়েটি।
ইসমাইল হোসেন ঘাটাইল উপজেলার সাত্তার বাইদ গ্রামের বাসিন্দা। তার চার সন্তারের দ্বিতীয় সন্তান মোছা. রিপা আক্তার (১৯)। গত রোজার ঈদের পরের দিন শেরপুরের ইদ্রিস আলীর সঙ্গে বিয়ে দেন পরিবার। এরপর মেয়ে ও জামাইকে নিজ বাড়িতেই রেখে দেন ইসমাইল হোসেন। পরে মেয়ের নামে একশ’ ১০ শতাংশ জায়গা লিখে দেন এবং সেখান থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে একটি পুকুর কেটে ৯০ হাজার টাকার মাছও ছেড়ে দেন তিনি। ভালোই যাচ্ছিল দিনগুলো।
হঠাৎ করেই গতকাল (২ আগস্ট) সকাল থেকে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আশেপাশের সবজায়গায় খোঁজাখুজির এলাকার লোক পুকুরে নেমে খুঁজতে থাকে। অনেক খোঁজাখুজি পর না পাওয়া গেলে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বিকেল চারটার দিকে বাবার কেটে দেয়া পুকুর থেকে মেয়ের লাশ উদ্ধার করেন।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।