নিজস্ব প্রতিবেদক : একবিংশ শতাব্দিতে এসেও মধ্যযুগীয় কায়দায় বিভিন্নভাবে মেয়েদের ভোগের পণ্য বানিয়ে চলছে কিছু নরপশু।
আর এরকম একটি ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের রাঙাচিরা গ্রামে।
সুদের টাকা না পাওয়ায় ঋণগ্রহীতার ১৩ বছরের মেয়েকে বিয়ে করার অভিযোগ ওই গ্রামের সুদের কারবারি ৫৫ বছর বয়সী সিরাজের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদরের চিলাবাড়ি গ্রামের মৃত ফজলু মিয়া পুত্র সিরাজুল ইসলাম (৫৫) এর কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়েছিলো রাঙ্গারচিরা গ্রামের ইউসুফ।
পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ করতে না পারায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় সিরাজুল ইসলাম ঋণগ্রহীতা ইউসুফের ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে করেন।
গত শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে বিয়ের রেজিষ্ট্রেশন করেন স্থানীয় কাজী আমিরুল ইসলাম।
সিরাজের পূর্বের স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া সন্তানও রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সোলাইমান মন্ডল বলেন, আমি ঘটনাটি পরে জানতে পেরেছি।
তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানলে এমন ঘটনা ঘটতে দিতাম না।
মেয়ের মায়ের সাথে কথা বলে জানাতে পেরেছি অভাব-অনটনের কারনেই, এতো বেশী বয়সী সিরাজের কাছে বিয়ে দিয়েছে।
এবিষয়ে সুদের কারবারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইসলামী শরীয়তে কোনো নিষেধ নাই, ৮০ বছরের বুড়াও ১২ বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে।
তাহলে আমি পারব না কেনো। আমার বড় বউ অসুস্থ থাকে তাই পরিবারের মত নিয়েই প্রস্তাবের মাধ্যমে বিয়ে করেছি।
মেয়েটির পরিবারকে সুদের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে বিয়ে করার কথাটি অস্বীকার করেন তিনি।
এবিষয়ে টাঙ্গাইল সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই।
বিষয়টি এখন জানতে পারলাম, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার