কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, “নির্বাচন করতে দিবো না—এটি জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার শামিল। যারা এ ধরনের কথা বলছে, তারা ফ্যাসিবাদের মানসিকতা প্রকাশ করছে, যা দেশের জন্য আশঙ্কাজনক।”
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও উপহার সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানিয়েছে। সবাই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, যেখানে জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে। কিন্তু ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
টুকু আরও বলেন, “নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র আগে যেমন হয়েছে, এখনও হচ্ছে। তবে ষড়যন্ত্র করে সাময়িকভাবে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করা গেলেও দীর্ঘ মেয়াদে গণতন্ত্রই বিজয়ী হবে। দেশের মানুষ তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে, যেখানে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের জায়গা থাকবে না।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক রাজনীতি করতে পারেনি। একটি গুপ্ত সংগঠন রূপ পাল্টে কাজ করছে এবং তারাই অনিয়মের পথ বেছে নিচ্ছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনা সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেরাই প্রকাশ করেছে। তবে তিনি মনে করেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন এক নয়।
অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক, জেলা যুবদলের সভাপতি খন্দকার রাশেদুল আলম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলীসহ অন্যান্য নেতারা।