বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) এক বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ভবিষ্যৎ ও সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে করা কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত অসভ্য ও অসম্মানজনক মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন চটুল ও সভ্যতাবিরোধী ভাষা বিরল।
টক শোতে রুমিন বলেন, সম্প্রতি যেখানে সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানের নাম আসে সেখানে প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এগুলো কেন এবং কারা করছে?” এবং যুক্তি দিয়ে বলেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তারা বাহ্যিক স্বার্থ ও উদ্দেশ্যস্বরূপ এসব কর্মকাণ্ড চালায়। বাস্তবে তারা দেশবিরোধী স্বার্থসেবীর মতোই কাজ করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
রুমিন ফারহানা ২০২৪ সালের ১-৫ আগস্টের ঘটনাবলী উল্লেখ করে বলেন, তিনি ওই সময় মাঠে নিজে ছিলেন এবং তখনও জনগণের মধ্যে সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেখা গিয়েছিল। তিনি মনে করিয়ে দেন যে সেই পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান ক্ষমতা নিলেও জনসমর্থন থাকত; কিন্তু সেনাপ্রধান তা করেননি—বরং ‘পেশাদারিত্ব ও ধৈর্যের’ পরিচয় দিয়েছেন। আর সেই পেশাদারিত্বের কারণে গত ১৪ মাসে তার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ ও প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে, তবু তিনি অটল থেকেছেন।
রুমিন আরও বলেন, যদি গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হত তাহলে সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে কোর্ট-মার্শালের সম্ভাবনা ও কঠোর শাস্তির বিষয়টিও ছিল; তবু তিনি কখনোই রাজনীতিতে সেনাবাহিনীকে যুক্ত করতে নারাজ ছিলেন। তিনি জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের মতো পেশাদার ও দায়িত্বশীল সেনাপ্রধান বাংলাদেশ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
শেষে রুমিন ফারহানা বলেন, বর্তমান সময়ে দেশের শান্তি ও সংহতির জন্য রাজনৈতিক বক্তব্যে দায়িত্বশীলতা ও শীতলচিন্তা জরুরি এবং সেনাবাহিনী বা তার প্রধানকে ভিত্তিহীনভাবে আক্রমণ করা উচিত নয়।