কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
আজ রবিবার উপজেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী। চকরিয়া আদালতে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশ ১৮ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে। সেই ১৮ জনের বিরুদ্ধেই তদন্তকারী কর্মকর্তা আজ রবিবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
তন্মধ্যে অভিযোগপত্রে নাম থাকা ১২ আসামি ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।তিনি আরো জানান, সেনা কর্মকর্তা তানজিম ছারোয়ার নির্জন হত্যাকাণ্ডে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ হত্যা ও অস্ত্র আইনে থানায় পৃথক দুটি মামলা রুজু হয়। দুই মামলাতেই ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তন্মধ্যে পলাতক ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান, সেনা কর্মকর্তা তানজিম ছারোয়ার নির্জন হত্যাকাণ্ড ও ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়। তন্মধ্যে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ সেনা কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবদুল্লাহ আল হারুনুর রশীদ বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। একই সঙ্গে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলমগীর বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেন। তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান, সেনা কর্মকর্তা হত্যায় যে ১৭ জনের নামে মামলা রুজু করা হয়েছিল সেখান থেকে এই হত্যাকাণ্ডে ৬ জনের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে অভিযোগপত্রে। আবার ব্যাপক তদন্তে বের হয়ে আসে এজাহারের বাইরে থাকা আরো ৭ জনের নাম। সেই ৭ জনসহ সর্বমোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ হত্যা ও অস্ত্র আইনে রুজু হওয়া পৃথক মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ভোররাতে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বসতবাড়িতে সশস্ত্র ডাকাত প্রতিরোধ অভিযানে গিয়ে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জন নিহত হন। এ সময় যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে তিন ডাকাতকে আটক এবং তাদের ফেলে যাওয়া একটি দেশীয় বন্দুক, ছয়টি গুলি উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।