সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ পরিস্থিতি তুলে ধরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন—প্রবাল বাস্তুতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করতে দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করা হয়েছে। পাশাপাশি বায়ুদূষণ কমাতে চলমান অভিযান অব্যাহত রয়েছে, তবে কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে সময় লাগবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সাভারের ব্র্যাক সিডিএম-এ অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এনভায়রনমেন্টাল জাস্টিস-এ ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে। একইসঙ্গে দেশের পরিবেশ প্রশাসনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার চলছে—
-
একবার ব্যবহারযোগ্য পলিথিন ব্যাগের কঠোর নিয়ন্ত্রণ
-
প্লাস্টিকমুক্ত অঞ্চল সম্প্রসারণ
-
নদী ও বনজ বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার
-
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ জোরদার
তিনি বলেন, দেশের জলবায়ু ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে—বিশেষ করে ফেনীর সাম্প্রতিক বন্যা, নদীভাঙন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও সীমান্তপারের পানির প্রবাহ পরিবর্তন। এসব মোকাবিলায় সরকার বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ গঠন করেছে, যাতে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত অর্থায়ন নিশ্চিত করা যায়।
উপদেষ্টা আরও জানান— মেগা প্রকল্পনির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা মানুষের উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণে সরকারি কার্যালয়গুলোতে রুফটপ সোলার স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারও এসব পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ ধরে রাখবে এবং আরও এগিয়ে নেবে।










