পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যার পর ঘরে আগুন ধরিয়ে পালিয়েছেন মো. ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫), পেশায় একজন চা বিক্রেতা। সোমবার (৫ মে) রাত ১১টার দিকে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহতরা হলেন– বিলকিস বেগম (৬৫) ও তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩২)। বাদল খান গত ১৬ এপ্রিল চম্পাকে চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী, শাশুড়ি ও প্রথম স্ত্রীর ১০ বছরের ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে বসবাস করছিলেন একটি বাড়িতে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, হত্যার সময় ইয়াসিন ঘর থেকে পালিয়ে প্রতিবেশীকে জানায় তার বাবা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এরপর সে আত্মগোপনে চলে যায়, এখনো তার খোঁজ মেলেনি।
খবর পেয়ে পুলিশ, ডিবি ও সিআইডির কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়। ভান্ডারিয়া থানার ওসি আহমদ আনওয়ার জানান, এটি পারিবারিক কলহের জেরে ঘটতে পারে, তবে অন্যান্য দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।