আজ ১১ ডিসেম্বর পালিত হচ্ছে টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস, একাত্তরের এই দিনে টাঙ্গাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধারা সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে শহরকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত করে। ৯ মাসের লড়াই, অসংখ্য ত্যাগ ও নির্যাতনের পর শহরবাসী স্বাধীনতার আনন্দ উপভোগ করেছিল।
দিবসটি উপলক্ষে ঐতিহাসিক কাদেরিয়া বাহিনী শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দিবসব্যাপী কর্মসূচি আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—ভোরে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ১০.৩০ থেকে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সঙযাত্রা ও লাঠিখেলা, এবং বিকাল ৩.৩০টায় আলোচনা সভা, যার সভাপতিত্ব করবেন কাদেরিয়া বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। প্রধান অতিথি থাকবেন টাঙ্গাইলের কমান্ডার ইন চিফ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে টাঙ্গাইলের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে শুরু করে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত শহর স্বাধীন বাংলা গণমুক্তি পরিষদ ও স্থানীয় বাহিনীর মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে স্বাধীন ছিল। কাদেরিয়া বাহিনী এবং অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন প্রতিরোধ যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের পরাজিত করে অস্ত্র সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ চালিয়ে শহরকে হানাদারমুক্ত করে।
৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে কাদেরিয়া বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর যৌথ অভিযান শেষ পর্যন্ত টাঙ্গাইল শহরকে সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত করতে সক্ষম হয়। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগের ফলে শহরের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পায় এবং শহর পুনরায় বাঙালির নিয়ন্ত্রণে ফিরে আসে।
আজ টাঙ্গাইলবাসী এই দিনটি স্মরণ করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, শহরের ঐতিহাসিক গৌরব স্মরণে।











