কালিহাতী প্রতিনিধি : ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ছাত্রনেতা আলী আজগর টাঙ্গাইলের কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডে তৎকালীন ঢাকাইয়া হোটেলে (গ্রীন হোটেল) অবস্থান করছিলেন।
এসময় পাকিস্তানি হানাদাররা আচমকা এসে গুলি করলে তিনি শাহাদৎ বরণ করেন।
পরে শহীদ আলী আজগরকে কালিহাতীর ঝগড়মান কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শহীদ আলী আজগর টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভার সাতুটিয়ায় ১৯৫০ সালের ৩১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পিতার নাম মুন্সী আলীম উদ্দিন এবং মাতার নাম হালিমা বেগম। ছোটবেলা থেকেই আলী আজগর ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও মিশুক স্বভাবের।
তিনি ১৯৬৬ সালে কালিহাতী রামগতি শ্রীগোবিন্দ (আরএস) পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন।
এরপর ভর্তি হন টাঙ্গাইলের কাগমারীর মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে। ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন তুখোড় ছাত্রনেতা।
আলী আজগর ১৯৬৮-৬৯ কার্যসালে কাগমারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন।
ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে তিনি তৎকালীন সময়ে সরকার বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন- সংগ্রামে সাহসের সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে; কালিহাতী তথা টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠক হিসেবে কাজ করতেন।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আলী আজগরের বিশেষ গেজেট নং- ১৫৬৫, শহীদ নং- ০২, মুক্তিবার্তা লাল বই নং- ০১১৮০২০৫৩৬, বাংলাদেশ গেজেট নং- ২৪১০।
শহীদ আলী আজগরের তিন ভাই- কছিম উদ্দিন, আব্দুল করিম ও আব্দুল হামিদ এবং চার বোন- ফুলজান নেছা, শামছুন্নাহার বেগম, আয়েশা বেগম ও আমেনা বেগম।
আজও শহীদ আলী আজগরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এলাকাবাসী; স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণে কালিহাতীতে শহীদ আলী আজগর নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গঠন করা হয়েছে।
১৯৯০ সালে কালিহাতী কলেজ কর্তৃপক্ষ বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশে ১ টাকার বিনিময়ে একখন্ড জমি সংঘটির নামে বরাদ্দ করে। সম্পাদনা – অলক কুমার