বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৭ কোটিরও বেশি তরুণ-তরুণী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বাইরে থাকবে, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এর মধ্যে তরুণীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, কারণ সামাজিক রীতিনীতি, নিরাপত্তা সংকট ও গৃহস্থালি দায়িত্ব তাদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তখন দক্ষিণ এশিয়ায় ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটিতে পৌঁছাবে। এদের অর্ধেক শিক্ষায় যুক্ত থাকলেও, প্রায় এক-চতুর্থাংশ অর্থাৎ ৭ কোটি তরুণ-তরুণী শিক্ষা ও কর্মের বাইরে থাকবে।
বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে বলেছে, “এই বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী যদি দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে যুক্ত না হয়, তবে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় সংকটে পরিণত হবে।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নারীদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে কম—বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে মাত্র একজন কর্মজীবী, যা বৈশ্বিক গড়ের অর্ধেক। নিরাপদ যাতায়াত, শিশু যত্নসুবিধা ও কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের মতো সমস্যা নারীদের কর্মসংস্থানে বড় বাধা তৈরি করছে।
এ সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক দেশগুলোর প্রতি সুপারিশ করেছে—
-
কারিগরি ও পেশাগত প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ,
-
নারীদের জন্য নিরাপদ ও সমান কর্মক্ষেত্র নিশ্চিতকরণ,
-
সাশ্রয়ী শিশু ও বৃদ্ধ যত্নসুবিধা উন্নয়ন,
-
এবং বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি।
বিশ্বব্যাংক মনে করে, এখনই সঠিক পদক্ষেপ না নিলে বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠী শিক্ষা ও কর্মসংস্থান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে, যা ভবিষ্যতে সামাজিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি করতে পারে।











