ময়মনসিংহের নান্দাইলে গরুচুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ধরে পুলিশে দেয় জনতা। পরে থানায় এনে জানা যায়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক মামলায় গত এক বছর আগে আদালত দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড,৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আর এক বছরের কারাদণ্ড দণ্ডিত করেন। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে পরোয়ানার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নান্দাইল উপজেলার গাঙাইল ইউনিয়নের পংকরহাটি গ্রামের মৃত আব্দুর বারেকের ছেলে মো. শহিদ মিয়া (৫২) এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও চোরচক্রের হোতা। গত বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় গরুচুরিসহ বাসাবাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়ে আসছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অভিযোগের ভিক্তিতে শহিদ চোর প্রমাণিত হলে তার স্বীকারোক্তিতে কবুতর, হাঁস-মুরগি ও ছাগল ছাড়াও বেশ মালামাল উদ্ধারও করা হয়।
এ অবস্থায় গত ২২ জানুয়ারি রাতে এলাকার মো. নজরুল ইসলামের গোয়ালঘর থেকে আড়াই লাখ টাকা মূল্যের দুটি বড় ষাঁড় গরু চুরি হয়। পরে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ওই গরু দুটি চুরির সঙ্গে শহিদসহ আরো তিনজন জড়িত। এরপর থেকে শহিদ গাঢাকা দেয়। ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম জানান, তিনি খবর পান অভিযুক্ত শহিদ তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে এলাকার একটি ফিসারির পাড়ে বসে ইয়াবা সেবন করছে। পরে সেখান থেকে গতকাল শনিবার দুপুরে ধাওয়া করে শহিদকে ধরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
রাতে শহিদের নামে আরো মামলা আছে কিনা যাচাইকালে দেখা যায়, ২০২০ সালের একটি মাদক মামলায় তার দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় হয়েছিল। নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহম্মেদ জানান, পরোয়ানা তামিল করে শহিদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে গরু চুরির অভিযোগটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।