সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত মধ্যরাতে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোর থেকেই ভোলার জেলেরা আবার ফিরেছেন তাদের চিরচেনা কাজে—ফিশিং বোট ও জাল নিয়ে ছুটেছেন সাগরের দিকে।
মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে উপকূলের জেলে পল্লীগুলো ও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রগুলো। কেউ কেউ রাত ১২টার আগেই রওনা দেন গভীর সমুদ্রের পথে।
ভোলার স্থানীয় জেলেরা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। অনেকেই ধারদেনা করে পরিবারের খরচ চালিয়েছেন। এখন তারা আশাবাদী—নতুন মৌসুমে ভালো মাছ পেলে ঋণ শোধ করে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভোলার সাত উপজেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা অন্তত ৬৪ হাজার। এদের বেশিরভাগই সমুদ্রনির্ভর।
উল্লেখ্য, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও উৎপাদন টেকসই করতে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করত সরকার। তবে প্রতিবেশী ভারতের জেলেরা ওই সময়ে মাছ ধরার সুযোগ পেতেন, যা বাংলাদেশের প্রয়াসকে আংশিক ব্যর্থ করত বলে সমালোচনাও ছিল।
এবার সেই অসামঞ্জস্য দূর করতে ভারত ও বাংলাদেশের সময় মিলিয়ে ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিনের একযোগে নিষেধাজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়। কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ অভিযানে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা হয়।
এখন জেলেদের প্রার্থনা—সমুদ্র যেন উত্তাল না হয়, আর জালে ভরে উঠুক ইলিশসহ নানা রকমের মাছ।
সম্পর্কিত খবর:
- মাছ ধরা মৌসুম শুরু, চাহিদা বাড়ছে বরফকলগুলোতে
- বঙ্গোপসাগরে অবৈধ ট্রলার নজরদারিতে নতুন প্রযুক্তি
- টেকসই মাছ আহরণে আন্তর্জাতিক সহায়তা চায় বাংলাদেশ