টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরে দিনে-দুপুরে ফাঁকা গুলি ছুড়ে প্রায় সাড়ে ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ৫ মাস অতিবাহিত হলেও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারও করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বছর ২৫ আগষ্ট মির্জাপুর সদরের বাইমহাটি এলাকার অগ্রণী ট্রেডিং কর্পোরেশনের অফিস থেকে সকাল ১০টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানের হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন সুপারভাইজার কাজী আসাদুল হক ও মোহন সাহা দুইটি মোটরসাইকেল যোগে অগ্রণী ব্যাংক মির্জাপুর শাখায় ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা জমা দিতে আসেন। পথিমধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ের পুরাতন অংশের মির্জাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছামাত্র ৪টি মোটরসাইকেল নিয়ে ওইস্থানে ওৎ পেতে থাকা ৮ জন ছিনতাইকারী ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ব্যাগে থাকা ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। এই ঘটনার পরপরই পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ টাকা উদ্ধার এবং অপরাধীদের ধরতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে।
কিন্তু ঘটনার ৫ মাস অতিবাহিত হলেও প্রকাশ্য দিবালোকে ছিনতাইয়ের এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তাছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোন ছিনতাইকারীকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মির্জাপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াহাব বলেন, টাকা ছিনতাইয়ের পাঁচ মাসেও তা উদ্ধার না হওয়ায় আমরা শঙ্কিত। আমরা ব্যবসায়ী হিসেবে প্রশাসনের নিকট নিরাপত্তা চাই।
মির্জাপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক সিদ্দিকী বলেন, টাকা নিয়ে আমরা ব্যবসায়ীরা দিনে রাতে সব সময় চলাফেরা করি। বিভিন্ন সময় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তার রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন আগে থানায় যোগদান করেই মামলাটির দায়িত্ব পেয়েছি। ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছি। আশা করছি খুব শীগ্রই এর মূল জায়গায় পৌঁছাতে পারবো।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ওই ছিনতাইয়ের ঘটনার পর বিভিন্ন সময় ১০/১২ জন ডাকাত গ্রেপ্তার করেও মূল রহস্য পাওয়া যায়নি। রহস্য উদঘাটনে পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ ব্যাপক তৎপর রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।