ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী গতকাল শনিবার গাজা থেকে আরো ছয় জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৬২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা। তবে সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, অবমাননাকর আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের সঙ্গে নিন্দনীয় ব্যবহার করাসহ হামাস বারবার যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এর জেরে গতকাল শনিবার যেসব ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল তা স্থগিত করা হলো। পরবর্তী ধাপে অবমাননাকর আচার-অনুষ্ঠান ছাড়া বাকি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
এদিকে হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে গতকাল ছয় ইসরায়েলি তাদের নিজ ভূখণ্ডে ফিরে গেছেন। মধ্য গাজার নুসেইরাতে গতকাল একটি মঞ্চে এলিয়া কোহেন (২৭), ওমর শেম তভ (২২) এবং ইসরায়েলি আর্জেন্টিনার দ্বৈত নাগরিক ওমর ওয়েনকার্টকে (২৩) নিয়ে আসেন হামাস সদস্যরা। সেখানে রেডক্রসের হাতে জিম্মিদের হস্তান্তর করা হয়। ১৬ মাসের বেশি সময় হামাসের হাতে বন্দি ছিলেন তারা। রেডক্রসের হাতে হস্তান্তরের সময় তাদের হাতে মুক্তির সনদ তুলে দেওয়া হয়।
একই ধরনের অনুষ্ঠানে দক্ষিণ গাজার রাফায় তাল শোহাম (৪০) এবং এভারা মেঙ্গিসতুকে (৩৮) রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে হামাস। ষষ্ঠ জিম্মি হিশাম আল সায়েদকেও (৩৭) রেডক্রসের কাছে দেওয়া হয়। রেডক্রসের গাড়ি এই ছয়জনকে নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। পরে তারা নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরে যায়।